গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে দেরি? মুখ্যসচিবকে নোটিশ হাইকোর্টের
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের উদ্দেশে নোটিশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য CBI-এর তরফ থেকে রাজ্যের কাছে যে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কতদিনের মধ্যে নেওয়া সম্ভব হবে ? তা জানতে চেয়ে করা হয়েছে রিপোর্ট তলব। আগামী তিন এপ্রিলের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এদিন আদালত নির্দেশ দেয় CBI এবং রেজিস্টার জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন মুখ্য সচিব।উল্লেখ্য, শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক কুমার সাহা, কৌশিক ঘোষের জামিন সংক্রান্ত মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। অনুমোদন না পেয়ে ট্রায়াল সম্ভব নয় বলে CBI রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল।
এই প্রসঙ্গে এদিন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) বলেন, 'আদালত CBI এর রিপোর্ট চায়। আমরাও সেই রিপোর্ট জমা দিতে চাই। রাজ্যপালের তরফে যে অনুমতি এসেছে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে। কিন্তু, অন্যান্য, সরকারি আধিকারকদের বিষয়ে মুখ্য সচিবকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত একাধিক চিঠি দেওয়ার পরেও কোনও 'স্যাংশন' মেলেনি। অন্যদিকে, আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন বলেন, 'অন্য একটি বেঞ্চে রাজ্য জানিয়েছে, মুখ্য সচিবের অনুমোদন দেওয়ার কোনও প্রয়োজন হয় না।'
উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তা আইনের এবং জনগণের বিশ্বাসের উপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলেপর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের
এদিন বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তা আইনের এবং জনগণের বিশ্বাসের উপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলে। আর্থিক দুর্নীতির গুরুত্ব শুধুমাত্র সাজার মেয়াদ থেকে বোঝা যায় না। । প্রশাসনিক ব্যবস্থা, মানুষের আস্থা এবং সমাজের উপর এর একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। সৎ সরকারি আধিকারিকদের তদন্তের নামে হয়রানি থেকে রক্ষা করার জন্যই অনুমতি গ্রহণের এই নিয়ম বা আইন রয়েছে।'
আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, 'কিন্তু যেখানে আদালতের নির্দেশে বা নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে সেই তদন্ত হয়রানির জন্য করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে সেটা বলা যায় না। অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। এতে বিলম্ব হওয়া দুঃখের বিষয়।'
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির উল্লেখ্য, SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে শেষ হয়। আপাতত রায়দান স্থগিত রয়েছে। তবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এদিন মন্তব্য করেন, 'এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে কোনও ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন।'