রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রোমোশনে তৈরি নির্দিষ্ট নিয়ম, উপকৃত হবেন কারা?
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে লাগু হয়েছে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি। তার আগেই রাজ্যের সচিবালয়ের কর্মীদের পদোন্নতির জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করল নবান্ন। জানা গিয়েছে, রাজ্যের কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।রাজ্য সচিবালয়ে কর্মরতদের পদোন্নতির জন্য কী নিয়ম তৈরি করা হয়েছে?
এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে দুই বছর কাজ করতে হবে। তারপরেই কোনও কর্মীকে অতিরিক্ত সচিব পদের জন্য বিবেচনা করা হবে। যদি কেউ উপসচিব পদে কমপক্ষে দুই বছর কর্মরত থাকেন এরপরেই তাঁকে য়ুগ্ম সচিব পদে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য ভাবনা চিন্তা করা হবে।
এর আগে যুগ্মসচিব পদে আসীন হওয়ার সুযোগ ছিল সেক্রেটারিয়েট কর্মীদের মধ্যেও। অর্থাৎ যদি কোনও কর্মী LDA পদে যোগদান করেন তাহলে আগের নিয়ম মোতাবেক তিনি পদোন্নতির সুযোগ পেয়ে যুগ্মসচিব পদের দায়িত্ব পেতে পারতেন।
বছরখানেক আগে সেক্রেটারিয়টে অতিরিক্ত সচিবের কয়েকটি পদ তৈরি করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক তা তৈরি করা হয়। এর ফলে সেক্রেটারিয়েট সার্ভিসে কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ থাকছে অনেকটাই বেশি।
এর আগে জানা গিয়েছিল, নবান্নের সচিবালয়ে সেকশন অফিসারের সংখ্যা বেড়েছিল। পাশাপাশি অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি এবং স্পেশাল অফিসারের পদের সংখ্যাও বাড়ে। অ্যাসিস্টান্ট সেক্রেটারির পদ, ডেপুটি সেক্রেটারির পদ, জয়েন্ট সেক্রেটারির পদ বাড়নো হয়েছিল বলে জানা যায়। সচিবালয় সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মীদের পদোন্নতির যে কাজ তা শেষ করার জন্য অতীতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশও দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন দফতরগুলিতে অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের আধিকারিক, স্পেশাল অফিসার, ওএসডি, সেকশন অফিসার পদের সংখ্যা বৃদ্ধিতেও। উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য বড়দিনের আগে আরও চার শতাংশ DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের বাজেটেও আরও চার শতাংশ DA বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাঁর পরিবারের মতো। লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিয়োগ সংক্রান্ত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ, দমকলে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল লোকসভার আগে শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে। দমকলে ৬০০, রাজ্য পুলিশে ১৩০০ এবং কলকাতা পুলিশে ৩৫০টি শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।