• Srijan Bhattacharya : খেলার মাঠ হোক বাজার, জনসংযোগে ব্যস্ত সৃজন
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
  • প্রশান্ত কুমার ঘোষএই সময়, ভাঙড় ও বারুইপুর: যাদবপুরের বামপ্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য একেবারে কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন। ভাঙড় থেকে সোনারপুর-বারুইপুর সর্বত্র ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। বড় কোনও জনসভা নয় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগে জোর দিচ্ছেন সৃজন। তাঁকে পেয়ে উজ্জীবিত বাম কর্মী-সমর্থকরা।

    রোজই সাতসকালে যাদবপুরে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন তিনি। প্রচারের পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন। খাওয়া দাওয়া যেখানে যেমন জুটছে তেমনই করছেন। সৃজনের কথায়, ‘দু’মাসের বেশি সময় বলে ধীরে চলো নীতি নেব না আমি। আমি চাইছি লোকসভার প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়ায় যেতে। মানুষের অভাব, অভিযোগ, কষ্টের কথা শুনতে। পরে তা পার্লামেন্টে তুলে ধরতে পারব।’

    সম্প্রতি ভাঙড়ের পোলেরহাট, শ্যামনগর এবং সোনারপুরে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সৃজন। পোলেরহাট সব্জিবাজারে প্রচারের ফাঁকে এক তরমুজ ব্যবসায়ী তাঁকে একটি আস্ত তরমুজ উপহার দেন। সেটা দেখিয়ে সাংবাদিকদের সৃজন বলেন, ‘ভাঙড়ের অবস্থা এখন এই রকম- বাইরে সবুজ, ভেতরে লাল। যত মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে ঘুরছেন সবার মনের ভেতরে বামেরাই আছে।’

    সৃজন এমন দাবি করলেও গত ১৫ বছর ধরে যাদবপুর কেন্দ্র তৃণমূলের দখলেই আছে। সেক্ষেত্রে ভাঙড়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। সে প্রসঙ্গে সৃজন বলেন, ‘ও সব দিন ভুলে যান। গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফল দেখুন। কোথায় তৃণমূল? বিরোধীরাই এখানেই রাজ করছে।’ উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের রেজাউল করিমকে হারিয়ে ভাঙড় থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি।

    যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একদিকে যেমন টালিগঞ্জ, যাদবপুর, সোনারপুর, নরেন্দ্রপুরের রয়েছে, তেমনই রয়েছে বারুইপুর পূর্ব ও বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল। একদা এই সমস্ত এলাকায় ছিল সিপিএমের আধিপত্য। এখন ঘুরে ঘুরে দলের পুরোনো কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সৃজন। যেমন চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলপুকুর মাঠে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ভলিবল খেলায় মেতে উঠেছিলেন সৃজন। খেলার পাশাপাশি এলাকা নতুন ভোটার ও যুবকদের মধ্যে ভোটপ্রচার সেরে নিতে দেখা যায় তাঁকে। আবার কখনও হতদরিদ্র পরিবারের উঠোনে গিয়ে বসে পড়ছেন। বাচ্চাদের কোলে নিয়ে আদর করছেন।

    প্রচারে বেরিয়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, রোজগারের উপর জোর দিচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। ২০২১ সালে সিঙ্গুর বিধানসভায় লড়াই করেছিলেন সৃজন। সেবার জিততে পারেননি। এ বার আরও বড় মাঠে ফলাফল কী হবে? সৃজনের উত্তর, ‘ভালো ফল হবে এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী। মানুষের মুখের হাসিই বলে দিচ্ছে যাদবপুর দখল করব আমরাই।’
  • Link to this news (এই সময়)