ভাগীরথী নদী পাড় ভাঙন! বন্ধ ভেসেল পরিষেবা, দুর্ভোগে কালনার মানুষ
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
পূর্ব বর্ধমান মেলার কালনায় ভাগীরথী নদী সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। যার জেরে কালনা ফেরিঘাট থেকে ভেসেল চলাচল বন্ধ। ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। নদী পার ভাঙনের জেরেই ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কালনা ফেরিঘাটের কাছে ভাগীরথী লাগোয়া কালনা শহরের নিচু জাপটের কিছুটা এলাকায় হঠাৎ গত কয়েকদিন ধরেই ভাঙন শুরু হয়। জেলাশাসকের নির্দেশে, ১৯ থেকে ২১ মার্চ কালনা ফেরিঘাট থেকে ভেসেল চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়। দিনভর লঞ্চে যাত্রী পারাপার হলেও রাত ১০টার পর ভেসেলেই যাত্রী পারাপার হয়। ভেসেল বন্ধ থাকার কারণে যাত্রী পারাপার রাতেও বন্ধ। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে পুরসভা।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ভাগীরথী নদী এলাকায় ফাটলে শুরু হয়েছে ভাঙন। আতঙ্কিত রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় বাসিন্দারা। পূর্ব বর্ধমানের কালনার জাপটে ভাগীরথী ঘাট সংলগ্ন নদী তীরবর্তী এলাকায় বড়সড় ফাটল দেখা দেয়। বেশ কিছু এলাকায় শুরু হয়েছে নদীর ভাঙনও। জাপটের ভাগীরথীর তিনটি ঘাট এলাকায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মিটার এলাকায় ফাটল নজরে আসে স্থানীয়দের।
গত সোমবার রাতের মধ্যে ফাটল আরও বড়ো আকার নেয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যান কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল, যান পুরপতি, উপ পুরপতি, কাউন্সিলর সহ অন্যান্যরা। জানা গিয়েছে, ভাগীরথীর জলস্তর নামতেই, নদীর পাড়ের অংশে ব্যাপক ফাটল শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাড়ের ৬ থেকে ৮ ফুট এলাকা নদী গর্ভে চলে যায়। তিন চারটি ঘাট সংলগ্ন প্রায় ৬০ মিটার এলাকা জুড়ে বড়ো ফাটল দেখা দিয়েছে। নদী ঘাট গুলি সীল করে দেওয়া হয়েছে। লোকজন যাওয়া আসায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
তবে এই বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে বলে খবর। অনুমোদন পেলেই পাড় মেরামতির কাজ শুরু হয়ে যাবে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেচ দফতরের বিশেষজ্ঞ লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাপজোক শুরু করেন এদিকে নদী তীরবর্তী ঐ এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয়ের জন্য চলে যাচ্ছেন। দ্রুত নদী পাড় ভাঙনের মেরামতির কাজ না শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।