বারুইপুরেও বেআইনি নির্মাণ! পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ টাকা নেওয়ার
২৪ ঘন্টা | ২২ মার্চ ২০২৪
তথাগত চক্রবর্তী: বারুইপুর ব্লকের মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বেআইনীভাবে তৈরি হয়েছে একাধিক বহুতল ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা টাকা নিয়ে এই কাজ করছে বলে অনেকের অভিযোগ।অনুমতি ছাড়াই বাড়ি তৈরির পাশাপাশি একটি বাড়ির সঙ্গে অন্য বাড়ির যে ফাঁক থাকার কথা তাও মানা হচ্ছে না। নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চায়েতের দো’তালা পর্যন্ত বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়ার কথা। তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই তৈরি করা হচ্ছে একের পর এক বাড়ি।
সম্প্রতি গার্ডেনরিচে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে বিপত্তি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দশেরও বেশী মানুষের। কলকাতা শহরের পাশাপাশি শহর লাগোয়া গ্রামাঞ্চলেও শুরু হয়েছে অবৈধ নির্মান। বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার মল্লিকপুর ও হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে একাধিক অবৈধ নির্মাণ। কোনও বৈধ অনুমতি ছাড়াই কয়েকশো বহুতল গড়ে উঠেছে মল্লিকপুর ও হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।এই বিষয়ে সাধারণ গ্রামবাসীরা মল্লিকপুর ও হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তাদের যোগসাজশেই এই অবৈধ বহুতল নির্মাণ হচ্ছে।যদিও এই অভিযোগ সম্পর্কে মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হবিবুর রহমান বৈদ্যর কাছে গেলে তিনি বলেন, তার এলাকার বহুতলগুলি কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ হয়েছে। এই কারণে তিনি প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছেন। চিঠি দিয়েছেন অবৈধ কনস্ট্রাকশন বন্ধ করার জন্য। বিডিও, এসডিও ও বারুইপুর থানা সবার কাছেই তিনি আবেদন জানিয়েছেন, কিন্তু অবৈধভাবে বহুতল নির্মাণ আটকানো যায়নি।পাশাপাশি এদিন অভিযোগ উঠেছে হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেও। সেখানেও একাধিক বহুতল নির্মাণ হয়েছে যার কোনও বৈধ অনুমতি নেই। এই প্রসঙ্গে হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কমল মিত্র স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তার কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ নেই। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন এবং তিনি এই বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন এবং অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে কোনও ভাবে হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বা প্রধান যুক্ত নেই।