শুক্রবার চতুর্থ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। কিন্তু, সেই তালিকায় বাংলার নাম নেই। অর্থাৎ বাংলার ২২ আসনে প্রার্থী কারা হবেন? তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। এখনও বিজেপির বাংলার পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়ায় কটাক্ষের সুর শোনা গেল তৃণমূলের কণ্ঠে।শুক্রবার তামিলনাডু এবং পুদুচেরি এই দুটি আসন মিলিয়ে মোট ১৫টি কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তাতে নাম নেই বাংলার। আর এরপরেই কিছুটা হতাশা গেরুয়া শিবিরের নীচু তলার কর্মীদের।
এদিকে সুযোগ বুঝে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না রাজ্যের শাসক দলের নেতারাও। তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বাংলায় বিজেপির দিশাহীন অবস্থা। প্রার্থী তো দূরের কথা, বুথে এজেন্ট নেই। তাঁরা ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে অন্য দল থেকে কে আসবে তাঁকে প্রার্থী করবে। বিজেপির এই করুণ পরিণতি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও বিজেপির যেটুকু উচ্ছিষ্ট রয়েছে তা ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে।’
এর আগে ব্রাত্য বসু প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন। গেরুয়া শিবিরের নীচু তলার কর্মীদের একাংশের মধ্যে হতাশার সুর শোনা গিয়েছে। তাঁদের কথায়, ‘তৃণমূলের প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি এবং এলাকায় গিয়ে প্রচার করছে। এদিকে কিছু কেন্দ্রে আমরা জানিই না প্রার্থী কে! একাধিক জনের নাম হাওয়ায় ভাসছে।’
বিজেপির প্রার্থী তালিকা দেরিতে প্রকাশ করার কোনও প্রভাব কি ভোট বাক্সে পড়তে পারে?হ্যাঁনাজানি না
যদিও বিরোধীদের এই কটাক্ষ গায়ে মাখতে নারাজ গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'সকলকে সঠিক সময়ে জানানো হবে প্রার্থীদের নাম। আসলে বিজেপির প্রার্থী নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেশি। তাই চর্চা চলছে।'
অন্যদিকে, শান্তনু সেনের আক্রমণের পালটা জবাব দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষও। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় দলে প্রচুর যোগ্য লোক রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬-এই। ফলে কারা কারা সংসদে যাবেন এবং কারা কারা এই রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বেন, সেই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। আমার মনে হয় বিশ্লেষণটা এভাবেই হচ্ছে। যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা দলে অনেক বেশি। এক একটা আসনের জন্য প্রায় পাঁচ-ছয় জন যোগ্য ব্যক্তির নাম জমা পড়েছে। বাকি উচ্চ নেতৃত্ব বলতে পারবেন।’ সবমিলিয়ে বাকি আসনগুলিতে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা কবে? তা নিয়ে চলছে আলোচনা।