Indore Sindoor Case : 'হিন্দু মহিলার সিঁদুর না পরা স্বামীর প্রতি নিষ্ঠুরতা!' মন্তব্য আদালতের
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পড়েন। প্রচলিত রয়েছে, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে সিঁদুর পড়েন স্ত্রীরা। তবে আজকালকার জেনারেশনে এই রীতি মানার ক্ষেত্রে দ্বিমত রয়েছে। ইন্দোরের এক বিবাহিতার সিঁথিতে সিঁদুর না থাকায় সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। স্ত্রীর সিঁদুর না পড়া একপ্রকারের নিষ্ঠুরতা।ইন্দোরের পারিবারিক আদালত কেবলমাত্র সিঁদুর পরা নিয়ে পর্যবেক্ষণই নয়, দ্রুত স্বামীর কাছে ফেরারও নির্দেশ দিয়েছে ওই মহিলাকে। আদালত স্বামীর পক্ষেই রায় দিয়েছে। স্বামীর সঙ্গে ফের তাঁকে ঘর করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ইন্দোরের এই বিবাহিত মহিলা দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর থেকে আলাদা থাকা শুরু করেছিলেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন না। স্ত্রীকে ঘরে ফেরাতে ইন্দোরের পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী। আইজীবীর মাধ্যমে জানান, বিগত পাঁচ বছর ধরে কোনও কারণ ছাড়াই আলাদা বসবাস করছেন স্ত্রী। একসঙ্গে থাকতে অনীহা তাঁর। এমনকী সিঁথিতে সিঁদুরও পড়েন না স্ত্রী। এই নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত স্ত্রী বলেন, 'আমি স্বামীকা ছাড়া থাকি তাই সিঁদুর পরতে আগ্রহী নন।' আদালতেও তিনি সিঁদুর ছাড়াই উপস্থিত হন।
মামলার শুনানির সময় ইন্দোরের পারিবারিক কোর্ট অসমের গুয়াহাটি হাইকোর্টের একটি আদেশ উদৃত করে। বিচারকের তরফে উল্লেখ করা হয়, স্ত্রী জানিয়েছেন তিনি স্বামীকে ত্যাগ করেননি। উভয়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের কোনও মামলা নেই। স্ত্রী স্বইচ্ছেতেই কোনও কারণ ছাড়া আলাদা বসবাস করছেন।
যদিও অভিযুক্ত স্ত্রী বলেন, 'আমার স্বামী মাদকাসক্ত। পণের জন্য মানসিক নির্যাতন করতেন। তাই আমি স্বামীর সঙ্গে থাকি না।' কিন্তু, আদালত দু'পক্ষের অভিযোগ শোনার পর শেষ পর্যন্ত স্বামীর পক্ষেই রায় দেয়। এখনও পর্যন্ত যেহেতু ওই মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদ করেনি, তিনি এখনও আইনত স্ত্রী। তাই তাঁকে সিঁদুর পরতে হবে। সিঁদুর না পরার অর্থ তিনি স্বামীর প্রতি নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছেন। সর্বোপরি তাঁকে স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।