গ্রেফতারির পর প্রথম প্রতিক্রিয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, 'দেশের জন্য আমি নিবেদিত প্রাণ। জেলে থাকি বা বাইরে, আমার গোটা জীবনটাই দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি।'কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক EDএদিকে দেশভক্ত কেজরিওয়াল সম্পর্কে বিস্ফোরক ED। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেই 'কিংপিন' বা মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় এই এজেন্সি। শুক্রবার দুপুরে ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারকের সামনে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি একে একে স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতে চেয়েছে তারা।
ED-র তরফে আদালতে সওয়াল করছেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। তিনি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বলেন, 'কেজরিওয়াল ১০০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। দক্ষিণের কোনও গ্রুপের থেকে এই টাকা দাবি করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।'
কেজরিওয়ালকে হেফাজতে চেয়ে ১১টি কারণ দর্শিয়েছে ED। সূত্রের খবর দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ED-র আইনজীবী নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করেছেন।
হেফাজতে চেয়ে আদালতে ED জমা করেছে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার তথ্য।ED-র দাবি, আবগারি নীতি এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছিল যাতে ঘুষ নেওয়া যায় এবং ঘুষদাতাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যায়।অরবিন্দ কেজরিওয়ালই এই দুর্নীতি মামলার মাথা। বেশ কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।এই দুর্নীতি থেকে পাওয়া বেআইনি অর্থ আম আদমি পার্টি গোয়া নির্বাচনে ব্যবহার করেছে।আবগারি নীতি তৈরির প্রথম থেকেই কেজরিওয়াল সরাসরি যুক্ত ছিলেন।মণীশ সিসোদিয়ার সচিব বয়ানে জানিয়েছেন ২০২১ সালে তাঁকে কেজরিওয়ালের বাসভবনে ডেকে পাঠানো হয়।আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার বিজয় নায়ারও কেজরিওয়ালের সঙ্গেই কাজ করতেন।কেজরিওয়াল সাউথের গ্রুপ থেকে ঘুষের অর্থ দাবি করেছিলেন। আমাদের কাছে তা প্রমাণ করার জন্য যথোপযুক্ত তথ্য রয়েছে।কেজরিওয়াল কে কবিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।হাওয়ালার মাধ্যমে গোয়ায় ৪৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়। অনেকের কাছে গিয়েছে সেই অর্থ।পালটা কী দাবি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীরএদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষ থেকে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, 'দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। ED-র হাতে কোনও তথ্য নেই। ফলে তাঁকে কোন মর্মে দোষী সাব্যস্ত করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।'