একজনের বয়স ৭০-এর গোড়ায়, আরেকজন ৭৩ পেরিয়েছেন। গোটা দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুজনেই। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ দুজনেই। তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা তাঁর থেকে শেখেন অনেক কিছুই। এই দুইজনের থেকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী শেখেন?নিউজ ১৮ বাংলা বৈদ্যুতিন চ্যানেলে আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি একান্ত সাক্ষাৎকার দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই রাজ্য রাজনীতি থেকে দলীয় সংগঠন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন, একাধিক বিষয় নিয়ে অকপট জবাব দেন অভিষেক। এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যা ফল করেছিল, তার থেকে ভালো ফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট শতাংশ এবং আসন সংখ্যার নিরীখে এবার অনেকটাই এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই আশাবাদী তিনি।
Abhishek Banerjee : বিজেপি-কে নতুন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের!
সেই সাক্ষাৎকারে এক জায়গায় সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁদের দুজনের থেকে আপনি কী শেখেন? দুই জনপ্রিয় রাজনীতিবিদের থেকে তরুণ নেতা হিসেবে তিনি কী শিখছেন? জবাব দেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে তাঁর জবাব, উনি নির্ভীক আপোষহীন জননেত্রী। তাঁর কাছ থেকে 'হার না মানা লড়াই' শেখার রয়েছে। এরকম দৃঢ় মানসিকতার কাউকে গোটা দেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
রাজনৈতিক দিক থেকে তাঁর সম্পূর্ণ বিরোধী শিবিরে রয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর কাছ থেকেও শেখার রয়েছে। তাঁর সম্পর্কে অভিষেক বলেন, উনি যেভাবে এই বয়সেও এত পরিশ্রম করে যান, সেটা শেখার বিষয়। যদিও, এখানেই উঠে আসে নবীন প্রবীণ প্রসঙ্গ। রাজনীতিতে একটি অবসরের বয়স থাকা উচিত বলে আগেই জানিয়েছিলেন অভিষেক। বিষয়টি নিয়ে অভিষেক জানান, এখনও বলছি রাজনীতিতে অবসরের বয়স থাকা অবশ্য উচিত। তবে কিছু ব্যতিক্রম থাকে। সবাই এই বয়সে এত পরিশ্রম করতে পারবেন না।
এই সাক্ষাৎকারে স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-এর প্রসঙ্গ। কিছুদিন আগেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, দুইজন দুর্বৃত্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে জিতে এসেছেন অভিষেক। সেই প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক চ্যালেঞ্জ জানান, দুইজন কেন, আমাকেই গ্রেফতার করে নিল। ভোট পর্যন্ত আমি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে পা রাখব না। প্রয়োজনে কমিশনকে আবেদন করে আমায় গৃহবন্দী করে রাখা হোক, তারপরও মানুষই জবাব দেবে ওই কেন্দ্রে কে জিতবে।