Same Gender Relationship : সমপ্রেমী পরিচয় দিলেই ভয়ংকর সাজা, কড়া আইন এই দেশে
এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৪
সমপ্রেমী পরিচয় দেওয়া যাবে না। কারণ পরিচয় দিলেও কপালে জুটবে কড়া শাস্তি। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকায়। এইনিয়ে কড়া আইনও পাশ করা হয়েছে।উগান্ডা অত্যন্ত রক্ষণশীল দেশ, তাই সমপ্রেমের ফলে দেশের ধর্মীয় ঐতিহ্যগত মূল্যবোধক হুমকির মুখে পড়েছে। এমনই দাবি উগান্ডার পার্লামেন্টের জনপ্রতিনিধিদের। যার ফলে সে দেশে সমপ্রেমের বিরুদ্ধে কড়া আইনও পাশ করা হয়েছে। উগান্ডার জনপরিনিধিদের আরও দাবি, সমপ্রেম ইউরোপ এবং আমেরিকার সংস্কৃতি। আইনে কাজ না হলে রয়েছে কড়া শাস্তির ব্যবস্থাও।
তবে শুধুমাত্র উগান্ডাই নয় আফ্রিকার তিরিশটিরও বেশি দেশে সমপ্রেমী সম্পর্ক অবৈধ বলে মনে করা হয়। এরই মধ্যে গত বছর তৈরি হওয়া আইন অনুযায়ী, সমপ্রেমী হিসেবে দাবি করাটাও উগান্ডায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, নতুন পাশ করা আইনের মধ্যে দিয়ে আফ্রিকা সমলিঙ্গ সম্পর্কের শাস্তি আরও বেশি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উগান্ডায় শুধুমা্র সমপ্রেমী সম্পর্কই অবৈধ বলে দাবি করা হয় এমনটা নয়, যদি কেউ নিজেকে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল বা ট্রান্সজেন্ডর বলে দাবি করে সেক্ষেত্রেও তাকে কড়া আইন মোতাবেক শাস্তি পেতে হবে।
সমপ্রেম নিয়ে এমন ছুৎমার্গের ফলে ইতিমধ্যেই আফ্রিকার এই আইনের বিরুদ্ধে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও উগান্ডার এই আইনের তীব্র সমালোচনা করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠন কি বললো না বললো তাতে কিছুই এসে যায় না উগান্ডার। সূত্রের দবি, আইনটি তৈরির সময় একজন ছাড়া উগান্ডার পার্লামেন্টের সব জনপ্রতিনিধিই সমপ্রেমীতার বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছিলেন এবং ভোট দিয়েছিলেন। তাঁরা প্রকাশ্যেই বলেছেন, সমপ্রেম সম্পর্কের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের প্রয়োজন ছিল। শুধুমাত্র উগান্ডার জনপ্রতিনিধিরাই নন, ওদেশের প্রেসিডেন্টও সমকামের বিরোধী। এবিষয়ে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, সমকমিতা নিয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকার চাপ তিনি গ্রাহ্য করেন না। শুধুমাত্র আর্থিক কারণে ওই সব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান। তবে তার জন্য দেশের সংস্কৃতি নিয়ে কোনও রকম আপসে নারাজ তাঁরা। অত্যন্ত রক্ষণশীল হওয়ার কারণে উগান্ডার জনপ্রতিনিধিদের দাবি, সমপ্রেমীতার বিরুদ্ধে আইন করলে ঈশ্বর সকলের উপর খুশি হবেন। এতে দেশের শিশুদের ভবিষ্যৎ রক্ষা পাবে। জাতির সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতেও এই আইনের প্রয়োজন রয়েছে।
তবে বিশ্বের সব দেশ এই ধারনায় বিশ্বাসী নয়। সম্প্রতি জাপানের আদালত সমপ্রেমকে অবৈধ করার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ড সমপ্রেমীতাকে স্বীকৃতি দেোয়ার জন্য আইন তৈরির পথে হেঁটেছে। এ ব্যাপারে আগেই অনেক এগিয়ে গিয়েছে নেপাল ও তাইওয়ান।