‘বুঝে গেলাম…!’ কেশপুরের জনপ্লাবনে কেন এমন বললেন দেব?
এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৪
২০১৪ সালে জয়ের ব্যবধান ছিল ২ লাখেরও বেশি। গতবার অবশ্য জয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে হয় এক লাখের কিছুটা বেশি। ঘাটালের মানুষ উপুড় করে দিয়েছেন দেবকে। সিনে জগতের জনপ্রিয়তার বাইরে গিয়েও রাজনীতির ময়দানে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন তিনি। এবারেও কি তার পুনরাবৃত্তি হবে? জবাব দেবে ভোটের ফল। তবে, কেশপুরে রোড শোয়ে মানুষের জনসমর্থন দেখে আপ্লুত তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী অর্থাৎ দেব।এদিনের র্যালি থেকে দেব জানান, ৫ বছর, ১০ বছর পর জনপ্রতিনিধিদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমে যায়! আজ কেশপুরে আপনারা যেভাবে আশীর্বাদ করতে হাজির হয়েছেন আমি বুঝে গেলাম আগামী আরও ৫ বছর আমি থাকছি। যদি মনে করেন, ঘরের ছেলেকে ভোট দেওয়া যাবে, তাহলে দেবেন। ভোট গণতান্ত্রিক আধিকার। ভোট দিন না দিন, আশীর্বাদ করুন।
সকাল থেকেই ঘাটাল লোকসভার বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচারে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা দেব। সেদিন দুপুরে খরার পৌর এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে ক্রিকেটের ব্যাট তুলে নিলেন অভিনেতা সাংসদ দেব। রীতিমতো পেশাদার খেলোয়াড়দের মত শর্ট মারতেও দেখা যায় দেবকে। পাশাপাশি হুড খোলা গাড়িতে চেপে ভোট প্রচার সারলেন বিভিন্ন এলাকায়। কখনো চায়ের দোকানে বসে নিছক আড্ডা মারলেন। কখনো কথা বললে এলাকার মানুষদের সঙ্গে।
ভোট দিন না দিন, আশীর্বাদ করুন।দেবপ্রচারের মাঝেই ঘাটালে দেবের ছবি তুলতে গিয়ে আহত হন এক চিত্র সাংবাদিক। সেই খবর কানে যায় দেবের। এরপর প্রচারের ফাঁকেই সেই সাংবাদিকদের বাড়িতেও চলে যান তিনি। তাঁর ব্যবহারে আপ্লুত হন গোটা এলাকার বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দেব সম্বন্ধে কয়েকটি মন্তব্য করেন।
দেব ভালো ছেলে, তবে তাঁর যেন অসৎ সঙ্গে নরকবাস না হয়, এরকমই মন্তব্য করতে শোনা যায় সুকান্ত মজুমদারকে। বিষয়টি নিয়ে দেব বলেন, ‘আমাকে সবাই ভালোবাসেন। এই কথাটার মধ্যে আমার প্রতি ওঁর ভালোবাসা আছে। এখানে যিনি প্রার্থী তিনি তো আমার নামে অনেক বাজে বাজে কথা বলছেন। সেখানে সেই দলের রাজ্য সভাপতি তো আমায় সম্মান করছেন।’ উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র থেকে এবার বিজেপির তরফে আরেক তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হয়েছে। বাকি দলের তরফে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।