অভিরূপ দাস: গার্ডেনরিচের (Garden Reach) বিপর্যয় নিয়ে ৪ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। ভেঙে পড়া অভিশপ্ত বহুতল নিয়ে তাই ‘স্বাধীন’ তদন্তে নামছে কলকাতা পুরসভা। এতদিন ধরে গার্ডেনরিচের ভেঙে পড়া বহুতল নিয়ে যে সমস্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে, তা সমস্তই ওই বরোর আধিকারিকদের। পুরসভা সূত্রে খবর, সেই তথ্যকে ‘প্রভাবিত’ বলে ধরে নিয়ে এবার কলকাতা পুলিশ আর পুরসভার ‘ফ্রেশ’ টিম নামছে তদন্তে।
ইতিমধ্যে শুক্রবার কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (Additional CP) মুরলিধর শর্মাকে বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে সংযোগকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা আর কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তদন্তের কাজে সমন্বয় রক্ষা করবেন তিনি। পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন তদন্তে গার্ডেনরিচের ভেঙে পড়া বহুতল খতিয়ে দেখবেন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা। কবে থেকে শুরু হয়েছিল ওই নির্মাণ? খবর পেয়েছিলেন স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার? কিভাবে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের নাকের ডগায় উঠেছিল বহুতল? সবই খতিয়ে দেখা হবে নতুন তদন্তে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার জানিয়েছেন, নতুন রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। বেআইনি বাড়ির ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির করার কথাও ভেবেছে পুরসভা।
শুক্রবার কলকাতায় পুরসভায় (KMC) উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন মেয়র। সেখানে হাজির ছিলেন আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়, সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপক রঞ্জন ঘোষ, অনিন্দ্য রাউত। ছিলেন পুর কমিশনার ধবল জৈন, ডিজি বিল্ডিং উজ্জ্বল সরকার এবং পুরসভার আইন বিভাগের মুখ্য আধিকারিক। সেখানেই কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলিধর শর্মাকে লিঁয়াজো অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, বেআইনি নির্মাণ ধরতে নতুন অ্যাপ তৈরি হয়েছে। এদিন তারও ডেমো দেওয়া হয়। একাধিকবার অভিযোগ আসে বেআইনি বাড়ির নেপথ্যে ডান-বাম রাজনৈতিক দলের মদতও রয়েছে।
এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোনও নেতা আড়াল করতে চাইলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না। ফিরহাদের কথায়, ‘‘আরও একবার আমি বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের বলেছি কোনও রাজনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। আইনের জন্য কাজ করবেন। যদি কেউ বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বাধা দেয় বলবেন, আমার কিছু করার নেই। এটা মেয়রের হুকুম।’’
এরই মধ্যে খবর এসেছে ওই বরোতে যাঁর ঘুরে ঘুরে দেখার দায়িত্ব ছিল, তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। মেয়র জানিয়েছেন, ?শারীরিক সমস্যা থাকলে আমায় আগে বলা উচিৎ ছিল। সেক্ষেত্রে তাঁকে অফিসে বসে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হতো।?