• পঞ্চায়েত রাজনীতিতে হাতেখড়ি, মথুরাপুরে যুব নেতার কাঁধেই জেতানোর দায়িত্ব তৃণমূলের
    এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৪
  • তরুণ প্রার্থীদের উপরে এবার ভরসা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে প্রার্থী তালিকাতেও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর কেন্দ্র থেকে এবার তৃণমূল নেত্রীর ভরসায় পঞ্চায়েত রাজনীতি থেকে উঠে আসা যুব নেতা বাপি হালদার।বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া ছেড়ে যাওয়া আসনে এবার লড়াই করছেন বাপি হালদার। শুরু থেকেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন তিনি। নাম ঘোষণার পরে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার কাজ শুরু করেন তিনি। তৃণমূলের সহজ সিট হলেও প্রচারের ক্ষেত্রে খামতি রাখছেন না প্রার্থী।

    বাপি হালদার দীর্ঘদিন কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। সেখান থেকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ আসনে দাঁড়িয়ে জয়লাভ ও জেলা পরিষদের খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্মাধ্যক্ষের পাশাপাশি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হন। তৃণমূল সূত্রে খবর, যুব সংগঠনের কাজ দেখেই তাঁকে লোকসভায় টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের প্রার্থী বলেন, ‘তৃণমূলে কে প্রার্থী হচ্ছেন, সেটা বড় কথা নয়। এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল দলের আদর্শ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেও দলের তরুণরা মানুষের জন্য কাজ করতে এতটা আগ্রহী। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাতে আমাদের লড়াই সহজ হয়েছে। বিজেপি মানুষকে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে।’

    তৃণমূলে কে প্রার্থী হচ্ছেন, সেটা বড় কথা নয়, এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল দলের আদর্শবাপি হালদার

    শুক্রবার প্রচারের সময় বের করে মথুরাপুরের তিনবারের সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ বাপি হালদার। তাঁকে নিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ বলেন, ‘বাপি হালদার একজন তরুণ রাজনীতিবিদ। ওঁর দল একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি পঞ্চায়েত ও ব্লকস্তরে ওঁকে কাজ করতে দেখেছি। শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রমের জন্যই ওঁকে জেলা যুব সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত, তিনি আমার যোগ্যতম উত্তরসূরি হবেন এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।’

    এই কেন্দ্র থেকে গত তিনবার টানা জিতে এসেছেন চৌধুরীমোহন জাটুয়া। তিনিই প্রথম এই কেন্দ্র বামেদের দখল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে নিয়ে এসেছেন। ২০০৯ সালে রাজ্যে পালাবদলের আগেই এই কেন্দ্র চলে আসে তৃণমূলের হাতে। বরাবরই এই কেন্দ্রে তৃণমূলের শক্ত সংগঠন রয়েছে বলে আলোচনা হয় রাজনৈতিক মহলে। গত দুই বার এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ছিল ২ লাখেরও বেশি। এবারও কি সেই ফল থাকবে? জবাব দেবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল।
  • Link to this news (এই সময়)