• বিতর্ক ঝেড়ে ফেলে নতুন শুরুর অপেক্ষায় শ্রেয়স
    আজকাল | ২৩ মার্চ ২০২৪
  • সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বিতর্কিত নাম শ্রেয়স আইয়ার। গত এক মাসে তাঁর পেশাদার জীবন চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। তারপর বোর্ডের রোষের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েন। পিঠের চোটের জন্য আইপিএলের প্রথম কয়েকটা ম্যাচেও অনিশ্চিত ছিলেন। শেষপর্যন্ত জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিট সার্টিফিকেট পান। তবে সবকিছুই এখন অতীত। একমাত্র ফোকাস আইপিএল। শনিবার রাতে কলকাতায় আসার পরের দিন থেকেই ইডেনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। চোটের জন্য গতবছর আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধেয় তাঁকে কোমড়ে বেল্ট পরেই নেটে ব্যাট করতে দেখা গেল। তবে যাবতীয় প্রতিকূলতা জয় করে আইপিএলে নতুন শুরুর অপেক্ষায় নাইটদের অধিনায়ক। শ্রেয়স বলেন, "আমি আইপিএল জিততে চাই। এই মুহূর্তে সব অধিনায়কই এটা চাইবে। তাই বর্তমানকে আঁকড়ে বাঁচতে হবে। অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি ভাবনা-চিন্তা করলে ভুল আরও বেড়ে যায়। হাতে যা আছে তার সদ্ব্যবহার করা উচিত। অভিজ্ঞতা আমাকে এটাই শিখিয়েছে। তার বাইরে অন্য কিছু আমাদের হাতে নেই। সেই নিয়ে যত বেশি ভাবব, ততই সমস্যা বাড়বে। তাই আমি শুধু নিজের কাজ সঠিকভাবে করে যেতে চাই। যদি ভুলও করে ফেলি, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাই না।" নেটে তাঁকে বেল্ট পরে ব্যাট করতে দেখা গেলেও চোট নিয়ে বিশেষ ভাবতে চান না। সামনেই বিশ্বকাপ। সেই নিয়েও এখনই মাথা ঘামাতে চান না শ্রেয়স। জানিয়ে দিলেন, আইপিএল শেষ হওয়ার পর বাকি সবকিছু নিয়ে ভাববেন। শ্রেয়স বলেন, "আইপিএলের পরে কী হবে সেই নিয়ে ভাবতে চাই না। জানি বিশ্বকাপ আছে। তবে আইপিএল শেষ হওয়ার পর সেটা নিয়ে ভাবব। বর্তমানে আমি শুধুই কালকের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। শারীরিকভাবেও আমি ঠিক জায়গায় আছি। রোজ টেনিং করছি। বল ঠিকঠাক হিট করছি। নেটে অনেকটা সময় ব্যাট করছি। ডাক্তার কি বলেছে সেই নিয়ে ভাবছি না। চোটের আকার নিয়েও ভাবতে চাই না। সবকিছু সরিয়ে সামনের দিকে এগোতে চাই।" দশ বছর সাফল্য নেই। গতবছর মরশুমের শুরুতেই তিনি চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় নেতৃত্বের ভার বর্তায় নীতিশ রানার ওপর। এবছর শুরু থেকেই নাইটদের নেতৃত্ব দেবেন শ্রেয়স।‌ সঙ্গে মেন্টর হিসেবে যোগ দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। তাঁর হাত ধরেই দু"বার ট্রফি এসেছিল। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই যে গম্ভীর দলের মানসিকতা বদলে দিয়েছেন, মেনে নিলেন কেকেআরের নেতা। শ্রেয়স বলেন, "গৌতি ভাইয়ের স্ট্র্যাটেজি শক্তিশালী। দুটো আইপিএল জিতেছে। ইডেন এবং প্রতিপক্ষ সম্পর্কে অনেক কিছু জানে। প্রচুর ইনপুট দেয়। গৌতি ভাই দলের মানসিকতা বদলে দিয়েছে। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে। মানসিকভাবে উজ্জীবিত করে। তাই দলের সকলেই চাঙ্গা আছে। আমি এর আগে ওর সঙ্গে কাজ করেছি। তাই ওর মানসিকতা বুঝি। ও ভয়ডরহীন। অধিনায়ক এবং প্লেয়ার হিসেবে স্বাধীনতা দেয়। সবার মধ্যে ভয়ডরহীন মনোভাব ঢুকিয়ে দিচ্ছে।" রিঙ্কু সিংয়ের প্রশংসা করেন শ্রেয়স।‌ তবে একইসঙ্গে জানান, দলের সবার মধ্যেই এক্স ফ্যাক্টর আছে। নাইটদের নেতা জানান, মিচেল স্টার্কের অন্তর্ভুক্তি দলের শক্তি এবং ওজন অনেকটাই বাড়িয়েছে। কারণ পাওয়ার প্লে থেকে শুরু করে মাঝের ওভার, ডেথে বল করতে পারেন স্টার্ক। গুরবাজ এবং সল্ট, দু"জনেই ছন্দে আছে। প্র্যাকটিস ম্যাচে বড় শট খেলতে দেখা যায় ইংলিশ ক্রিকেটারকে। কিন্তু ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে কে ওপেন করবেন? শ্রেয়স জানান, টিম মিটিংয়ের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে কিছুটা হলেও এগিয়ে সল্ট। ছবি: অভিষেক চক্রবর্তী
  • Link to this news (আজকাল)