ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সংবাদমাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছেন, দুই দুবৃত্তের সাহায্যে আপনি ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে ভোট জেতেন। তাদের তুলে নিলে খেলা শেষ।' সঞ্চালকের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই প্রাক্তন বিচারপতিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।অভিষেক বলেন, 'আমি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে হাতজোড় করে বলব, আপনি আমাকে গ্রেফতার করান। আমি একদিনও ডায়মন্ডহারবারে পা রাখব না। আর বিরুদ্ধে আপনি দাঁড়ান। তারপর মানুষের দরবারে বিচার হোক। আপনি তো আদালতে বসে রায় দিয়েছেন, বিজেপির কথা শুনে, যা বলেছে, আপনি তাই করেছেন। আজকে মানুষ বুঝতে পারছে, আপনি বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। আপনি ২০০ দুবৃত্তকে তুলুন, যাকে ইচ্ছা তুলুন। পরবর্তীকালে জেনে নিতে হবে, যদি নির্বাচন চলাকালিন এই ঘটনাগুলি ঘটে, তাহলে কোথা থেকে প্ল্যানিং হয়েছে, আর কী হয়েছে, সেটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে মানুষের কাছে।'
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন,' পয়লা জুন ডায়মন্ডহারবারে ভোট। পয়লা জুন পর্যন্ত আমাকে গ্রেফতার করে রাখুন, আমি একদিনও ডায়মন্ডহারবারে পা রাখব না। নির্বাচন কমিশনকে গিয়ে অর্ডার করান, গৃহবন্দি করে রাখুন, বিরুদ্ধে আপনি দাঁড়ান। মানুষের দরবারে লড়াই হোক, দেখি মানুষ কার সঙ্গে।'
ওই সাক্ষাৎকারে অভিষেক আরও বলেন, 'গণতন্ত্রে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মানুষ। যেদিন মানুষ চাইবে না, সেদিন হাজার চেষ্টা করেও নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর লোকসভা থেকেই জেতান যাবে না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হেরেছেন, অসীম দাশগুপ্ত হেরেছেন, নিরুপম সেন হেরেছেন, সূর্যকান্ত মিশ্র হেরেছেন। কোনওদিন কেউ স্বপ্নে ভেবেছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো নেতা হেরে যাবেন! আমি সেই কারণেই মানুষকে বলি, আপনারা আপনাদের অধিকারকে সামনে রেখে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।'
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের লড়াইতে প্রথম থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ডায়মন্ডহারবার আসানটি। এবারেও ওই আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনও পর্যন্ত আর কোনও দল ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি। একটা সময় আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি ওই আসন থেকে লড়তে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল। তবে সম্প্রতি শোনা যায়, আইএসএফ-এরই একটা অংশে এই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। সেক্ষেত্রে এখন দেখার জায়মন্ডহারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোন দল কাকে দাঁড় করায়।