Delhi Liquor Scam : কিংপিন কেজরিওয়াল! আপের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ, কী এই আবগারি স্ক্যাম?
এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৪
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িতে থাকার অভিযোগ তুলেছে ED। পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেই এই দুর্নীতির মূলচক্রী বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কী এই আবগারি নীতি? কী ভাবে এর মাধ্যমে দুর্নীতি হয়েছিল?আবগারি নীতি কী?উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নয়া আবগারি নীতি চালু করে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশাসন। দাবি ছিল, রাজধানীতে মদ বিক্রির প্রক্রিয়াকে আধুনিক করা হবে এবং আবগারি শুল্ক থেকে আয় বাড়াতেই এই নীতি প্রণয়ন। এই আইনের আওতায় দিল্লিকে ৩২টি জোনে ভাগ করা হয়। প্রতিটি জোনে থাকে ২৭টি লিকার ভেন্ড। সরকারের তরফে দাবি করা হয়, মদ ব্যবসার সঙ্গে প্রশাসন কোনওভাবে যুক্ত থাকবে না।
এ ছাড়াও লাইসেন্স নীতি সহজ করে দিল্লি প্রশাসন জানায়, বেসরকারি মদ ব্যবসায়ীরা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মদ বিক্রি করতে বাধ্য নন। ইচ্ছেমতো ডিসকাউন্ট দিতে পারেন তাঁরা। ভোর তিনটে পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখার অনুমতিও দেয় দিল্লির আপ সরকার। দিল্লি প্রশাসনের দাবি ছিল, লিকার মাফিয়া এবং মদের কালোবাজারি রুখবে এই নয়া আবগারি নীতি। পাশাপাশি ক্রেতারাও সহজে এবং সুলভ মূল্যে মদ কিনতে পারবে। দিল্লি সরকারের আরও দাবি ছিল, ২০২১-২২ সালে নতুন আবগারি নীতিতে সরকারের রাজস্ব আয় ২৭ শতাংশ বেড়েছিল।
আবগারি নীতি নিয়ে কেন বিতর্ক?২০২২ সালেএই আবগারি নীতি বিতর্কের মুখে পড়ে। বিরোধীদের চাপে এই নীতি শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় আপ প্রশাসন। অভিযোগ ওঠে কিছু মদ ব্যবসায়ীকে ঘুষের বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে আপ প্রশাসন। একইসঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ১২ শতাংশ ফিক্সড মার্জিনে মদ বিক্রি করা হচ্ছে। এই ১২ শতাংশের মধ্যে ছয় শতাংশ ঘুষ যাচ্ছে আপ নেতাদের পকেটে। দক্ষিণের রাজ্যের 'সাউথ গ্রুপ' থেকে আপ নেতাদের ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এই টাকা গোয়া এবং পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে কাজে লাগানো হয়েছে বলেও দাবি। উল্লেখ্য, ED শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতেও এই অভিযোগগুলোই তুলে ধরে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে।
২০২২ সালে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যসচিব নরেশ কুমার দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনাকে জানান নতুন আবগারি নীতিতে নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে। এরপরই CBI তদন্তের নির্দেশ দেন উপরাজ্যপাল। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় এরপর তদন্ত শুরু করে ED-ও। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আপের কমিউনিকেশন প্রধান বিজয় নায়ার গ্রেফতার হন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে ED। তারপর ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে আপের রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিং ED-র হাতে গ্রেফতার হন। সর্বশেষে গত ১৬ মার্চ এই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয় BRS নেত্রী কে কবিতাতে। এর মাঝে ২০২৩ সাল থেকে পর পর ন'বার সমন পাঠানো হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু, একবারও হাজিরা দেননি তিনি।