দোল মানেই শান্তিনিকেতন। বসন্ত উৎসবে গা ভাসানো। কিন্তু, শান্তিনিকেতনে অনিশ্চিত ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসব। এই উৎসব নিয়ে এখনও কোনও বৈঠক করেনি বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষ, সূত্রের খবর এমনটাই। এদিকে বসন্তোৎসব বন্ধ হলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, এই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।এই অবস্থায় পর্যটকদের জন্য পাড়ায় পাড়ায় দোল উৎসবের আয়োজন করলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি সোনাঝুরিতে কোনও অনুষ্ঠান না হলেও হবে জমায়েত। ফলে বসন্ত উৎসব না হলেও শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের সমাগমের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। খুশি হোটেল মালিকরাও। তাঁদের কথায়, 'বসন্ত উৎসব যদি বন্ধ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে বহু টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এখনও এই উৎসবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একদিকে যেমন পর্যটকরা দোল উপভোগ করতে পারবেন, তেমনই শান্তিনিকেতনের ব্যবসায়ীদেরও লাভ হতে চলেছে।’
ইতিমধ্যেই এই পাড়ায় পাড়ায় দোল এবং সোনাঝুরি হাটে জমায়েতের কথা মাথায় রেখে ট্রাফিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোথায় গাড়ি পার্ক করা হবে? সেই সম্পর্কে দেওয়া হয়েছে বিস্তারিত তথ্য।
বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা থেকে যে বাস বা গাড়িগুলি ইলামবাজার হয়ে যাচ্ছে সেগুলি সুরুল মোড় হয়ে কালিসায়র মোড় থেকে বাম দিকে গিয়ে বিশ্বভারতীয় বিনয় ভবন মাঠে পার্ক করতে পারবে। ছোট গাড়িগুলি এগিয়ে যাবে শিক্ষা ভবন মোড়ের দিকে এবং বাম দিকের রাস্তা ধরে লালবাঁধ পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে সোনাঝুরির দিকে এগিয়ে যাবে।
বর্ধমান থেকে ছোট গাড়িতে যাঁরা ভেদিয়া হয়ে যাবেন তাঁরা বোলপুর শিবতলা হয়ে কাশিপুর বাইপাসে উঠে বাম দিকে ঘুরে রবীন্দ্রবীথি বাইপাস হয়ে আমবুনি তিনমাথা মোড় থেকে কালিসায়রের দিকে এগিয়ে যাবেন। এরপর লালবাঁধে পার্কিং করবেন।
যাঁরা বোলপুর স্টেশন থেকে টোটোকে সোনাঝুরি হাটের দিকে যাবেন তাঁরা লজ মোড় পেরিয়ে শ্যামবাটি হয়ে গোয়ালপাড়ার রাস্তা ধরে সোনাঝুরির নির্দিষ্ট জায়গায় টোটো পার্কিং করে এগিয়ে যাবেন।
লাভপুর এবং আমোদপুর থেকে আসা গাড়ি প্রান্তিক হয়ে গোয়ালপাড়ার রাস্তা ধরে সোনাঝুরির নির্দিষ্ট এলাকায় পার্ক করতে পারে। সমস্ত জায়গা থেকে আসা বাসগুলির পার্কিংয়ের একমাত্র জায়গায় বিনয় ভবন পার্কিং। ২৫ মার্চ বিশ্ব ভারতীয় মিউজিয়াম বা আশ্রম এলাকা সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ থাকছে। ৪৫ রোডে আগত বাইক যাত্রীদের বাইক পার্ক সাঁতারপুকুরে করতে হবে।