বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি। টানা তুষারপাতের জেরে সান্দাকফুতে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়লেন ৪০ জন পর্যটক। ফলে আতঙ্ক ছড়াল পর্যটকদের মধ্যে। পরে পর্যটকদের আবেদনে পুলিশ, এসএসবি এবং গাড়ি চালকরা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন মানেভঞ্জনে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই গাড়িতে করে শিলিগুড়িতে নেমে আসেন। শিলিগুড়িতে নামার পর স্বস্তি দেখা গিয়েছে পর্যটকদের চোখেমুখে।প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আকাশ ছিল মেঘলা। রাত থেকে শুরু হয়ে যায় বৃষ্টিপাত। পাশাপাশি সান্দাকফুতে ওই দিন রাত থেকে শুরু হয়ে যায় তুষারপাত। যার ফলে একধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। সকালে দেখা যায়, গোটা সান্দাকফুই ঢেকে গিয়েছে সাদা তুষারের চাদরে। ফলে খুশির হাওয়া খেলে যায় সান্দাকফুতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেদের মধ্যে। টানা তুষারপাতের কারণে কিছু জায়গায় রাস্তার উপর কয়েক ইঞ্চি বরফও জমে যায়। ফলে প্রভাবিত হয় যান চলাচল।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় তুষারপাতের জেরে অবাক স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। তাঁরা জানান, মার্চে তুষারপাতের কথা এককথায় ভাবাই যায় না। গত কয়েক বছরে এমন দৃশ্য তাঁরা দেখেছেন বলেও খুব একটা মনে করছে পারছেন না। এই প্রসঙ্গে হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মার্চে তুষারপাত হবে ভাবাই যায় না, এই বছরে বেশ কয়েকবার সান্দাকফুতে তুষারপাত হতে দেখা গিয়েছে। ওই ব্যবসায়ীরা আরও জানিয়েছিলেন, যে সমস্ত পর্যটকরা এই সময়ে আসেন তাঁরা সাধারণত তুষারপাত দেখতে করতে পারেন না। কিন্তু, এবারে আবহাওয়ার চরিত্র অনেকটাই অন্যরকম। ফলে মার্চেও চারিদিক বরফে ঢেকে গিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি মধ্যে বোল্ডার ধসের কারণে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং পৌঁছতে রুটেও ডাইভারশনের নির্দেশ দেয় কালিম্পং জেলা প্রশাসনের। এই বিষয়ে কালিম্পং-এর জেলাশাসকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের লিকুভির এলাকায় লাগাতার বোল্ডার ধসের কারণে যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য এই রুট ডাইভারশন জারি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিলিগুড়ি এং কালিম্পং-এর মধ্যে যানবাহনগুলিকে লাভা গরুবাথান রোড হয়ে যাতায়াতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আবার ২৭ মাইল ও কালিম্পং-এর মধ্যে যানবাহনগুলিকে সামথার হয়ে যাতায়াতের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। এর ফলে পর্যটকদের শিলিগুড়ি ও কালিম্পং-এর মধ্যে যাতায়াতের সময় এবং খরচও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়।