স্টাফ রিপোর্টার: শুধু অনিচ্ছুক ব্যক্তি নয়। দোল বা হোলির দিন রং দেওয়া যাবে না রাস্তায় পশুদের শরীরেও। এই ব্যাপারেও এবার কড়া হচ্ছে লালবাজার (Lalbazar)। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার দোল এবং হোলির দিন রং খেলার সময় যাতে কোথাও কোনও গোলমাল না হয়, সেই ব্যাপারে বিশেষ নজর থাকছে পুলিশের (Police)। কাউকে যাতে জোর করে রং দেওয়া না হয়, তার জন্য অপরিসর রাস্তা ও বহুতলগুলিতেও নজর থাকছে পুলিশের। আবার একই সঙ্গে যাতে রাস্তায় কুকুর ও অন্যান্য কোনও পশুর শরীরে রং দিয়ে কেউ মজা না করেন, সেই ব্যাপারেও শহরবাসীকে পুলিশের পক্ষে সতর্ক করা হচ্ছে। এতে পশুপ্রেমীদের সাহায্যও নিচ্ছে লালবাজার। এরকম কোনও ঘটনা চোখে পড়লে অথবা অভিযোগ এলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।
এদিকে,দোলের দিন যাতে স্নান করার পর কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে প্রায় ৭০টি ঘাটে। এর মধ্যে থাকছে গঙ্গা ও বিভিন্ন সরোবর বা পুকুরের ঘাটও। এগুলির মধ্যে ৪৩টিতে কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে (Disaster Management Group) মোতায়েন থাকতে বলা হচ্ছে। দোল ও হোলির দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতার রাস্তায় থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।
সোমবার কলকাতার (Klokata) রাস্তায় থাকছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ। দোল ও হোলিতে সকাল থেকেই রাস্তায় থাকবেন ২৬ জন ডিসি। তাঁদের অধীনে থাকবে পুলিশবাহিনী। দিন ও রাতে থাকবে ৪৪টি করে টহলদার বাইক। হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের মধ্যে ২৭টি থাকবে দিনে ও ১৯টি থাকবে রাতে। দিনভর টহল দেবে ৫৮টি পিসিআর ভ্যান। কোনও গোলমালের খবর পেলেই যাতে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সেখানে পুলিশ হাজির হয়, সেদিকে থানাগুলিকে নজর দিতে বলেছে লালবাজার। কোনও গাড়ির ভিতর থেকে যাতে পথচারীদের লক্ষ্য করে রং না ছোড়া হয়, সেদিকে কড়া নজর থাকবে পুলিশের। বহুতলগুলি থেকে যাতে নিচে রং না ছোড়া হয়, সেদিকেও নজর রাখতে গাড়ি করে ঘুরে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।