বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁর হাত ধরেই এন্ট্রি, প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে কী অভিমত অভিষেকের?
এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৪
সালটা ২০১৯। সাদা পাজামা এবং কুর্তায় মোড়া এক দীর্ঘদেহী মানুষের আগমন ঘটল নবান্নে। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই ধরাশায়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে বাংলার রাজনীতিতে প্রথম এক ভোট কুশলীর এন্ট্রি করালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরেরটা ইতিহাস। প্রশান্ত কিশোরের বুদ্ধিমত্তা এবং তাঁর আই-প্যাক টিমের গুরুত্ব ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফলের পেছনে অবদান অনস্বীকার্য রাজনৈতিক মহলে।বর্তমানে সেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক কী রকম? এই প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করে রাজনৈতিক মহলে। যদিও, আই প্যাকের সঙ্গে অনেকদিন আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আই প্যাক এবারের নির্বাচনেও কাজ করে চলেছে। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে কাজ করবে তৃণমূল, এমনটাই শোনা যায় শাসক দলের অন্দরে।
তবে, প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিমত কী? শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউজ ১৮ বাংলা নামক একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক দেশের কয়েকজন রাজনৈতক ব্যাক্তিত্বকে নিয়ে একটি শব্দ উত্তর দিতে বলেন অভিষেককে। সেখানে যেমন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ সবার ব্যাপারই জিজ্ঞাসা করা হয়, তেমনই প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়।
Abhishek Banerjee : বিজেপি-কে নতুন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের!
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক একটি শব্দে প্রশান্ত কিশোর সম্বন্ধে বলতে বলেন অভিষেককে। অভিষেক জবাব দেন, ‘ওভার হাইপড’। শব্দটি শুনে সঞ্চালক ফের নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরেকবার জিজ্ঞাসা করেন। এবারেও অভিষেক উত্তর দেন ‘ওভার হাইপড’ বা ‘ওভার রেটেড’। যার বাংলা আভিধানিক অর্থ বের করলে দাঁড়ায়, যাঁকে নিয়ে অতিরিক্ত চর্চা হয়েছে বা যাঁকে অতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগেই একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের ইন্টারভিউয়ে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন, বাংলায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে গতবারের (২০১৯) তুলনায় খারাপ ফল করবে না বিজেপি। উলটে, বিজেপি এবার চমকপ্রদ ফল করতে পারে। প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্যটি পৌঁছেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কানেও। তখন থেকেই অসন্তোষ তৈরি হয় দলের অন্দরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘উনি তো আমাদের সঙ্গে আর যুক্ত নয়। ফলত, তাঁকে এখন অতোটা গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। বাংলার মানুষ কার উপর আস্থা রাখবে সেটা ফলাফলই বলে দেবে।’