শিবমন্দিরে পুজো দিলেন সায়নী ঘোষ। শনিবারের প্রচারে নেমে এলাকাবাসীর মঙ্গলকামনা করলেন তিনি। এই লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী তথা রাজনীতিক সায়নী। গত তিন বছর ধরে রাজনীতির করার সুবাদে তিনি মানুষের মধ্যেই থেকেছেন, স্পষ্ট জানিয়েছেন সেই কথাও।এবার শনিবার তিনি শিব মন্দিরে পুজো দেন। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা থেকে প্রচার শুরু করেন সায়নী। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, সাংগঠনিক প্রধান নজরুল আলি মণ্ডল সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা।
যাদবপুরের মেয়ে সায়নী। স্বাভাবিকভাবেই এলাকা তাঁর চেনা। গত লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার কিছুদিন আগেই তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। এরপর কেন্দ্র থেকে লড়াই করা এবং জয় এনে দেওয়ার দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে সায়নীর কাঁধে। যুব তৃণমূলের এই নেত্রী নাম ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় প্রচার সারছেন। সম্প্রতি যাদবপুরের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। মুখোমুখি দেখা হওয়ার পর সৌজন্য বজায় রাখেন তিনি। এগিয়ে গিয়ে হাসিমুখে হাত রাখেন সৃজনের কাঁধে। হাসি বিনিময় করতে দেখা যায় সৃজনকেও।
দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে এভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে দেখে রীতিমতো অবাক নেটিজেনদের একাংশ। সৌজন্যের রাজনীতি একেই বলে- দুই প্রার্থীরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁরা। উল্লেখ্য, মিমি চক্রবর্তীর বদলে তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা চলে।
যদিও এক সাক্ষাৎকারে সায়নী ঘোষ বলেছিলেন, 'মিমি বলেছেন তিনি আর রাজনীতিতে থাকতে চান না। অভিনয় করতে চান মন দিয়ে। আমার নামটা যাদবপুরে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর আমাকে ফোনও করেছিল। ও বলেছে, যে তুমি ভালো কাজ করবে। কী কী কাজ বাকি রয়েছে তাও জানতে চেয়েছি।' অর্থাৎ দুই অভিনেত্রী নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে রাজনৈতিক সৌজন্যের পথে হেঁটেছেন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
অন্যদিকে, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি প্রচারে নেমে সায়নী ঘোষকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, 'যাদবপুর অনেক নায়িকা-গায়ক-কে দেখেছে। এবার কাজ দেখবে।' সব মিলিয়ে যাদবপুর কেন্দ্রে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।