শনিবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য ডেবরায় উপস্থিত ছিলেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ১ নং ভবানীপুর অঞ্চলের এদিন এই তারকা প্রার্থীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তিনি মঞ্চে উঠেছিলেন। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই সিঁড়ির একটি অংশ ভেঙে পড়ে। যদিও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তড়িঘড়ি মঞ্চ থেকে অনেককে নামিয়ে দেওয়া হয়। দেব অবশ্য এদিন নিজের বক্তব্য শেষ করেন এবং তারপর মঞ্চ থেকে নেমে যান।লোকসভা নির্বাচনকে মাথার রেখে রীতিমতো প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেব। কখনও মাটিতে বসে শুনছেন মানুষের কথা, আবার কখনও খেলেছেন ক্রিকেট। এদিন তিনি মঞ্চে উঠার পর দেখা যায় সিঁড়ি বেশ নড়বড়ে। এরপর কোনও অঘটন যাতে না ঘটে সেই জন্য তড়িঘড়ি মঞ্চ অনেকটাই খালি করে দেওয়া হয়। সাবধানে ওঠা নামা করেন অনেকেই।
এদিক দেবের কণ্ঠে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শোনা যায় প্রতিশ্রুতিও। এদিন দেব বলেন, 'আমি জিতি বা হারি কাজ শুরু হবেই।' ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। উল্লেখ্য, সংসদে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন দেব। শুধু তাই নয়, বাংলায় এই নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু, শেষমেশ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন চেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে হতাশ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্যই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রচারের ময়দানে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে দেখা গিয়েছে দেবকে। এদিকে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিরণ। একসময় টলিউডে দেবের সতীর্থ ছিলেন তিনিও। প্রচারে নেমে হিরণ একাধিকবার দেবকে আক্রমণ করেছিলেন। কিন্তু, দেবের কণ্ঠে সেভাবে কোনও আক্রমণ শোনা যায়নি। তিনি হাসি মুখে বলেছিলেন, মানুষ বেছে নেবেন তাঁদের জনপ্রতিনিধি কে হতে চলেছেন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত লোকসভা কেন্দ্রে এই কেন্দ্রে দেবের বিপরীতে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছিল ভারতী ঘোষকে। ২০১৩ সালের তুলনায় ভোটের মার্জিন কমলেও জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন দেবই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ‘রাজনীতিক হিসেবেও বেশ মিতভাষী দেব। সচরাচর কাউকে উগ্র আক্রমণ তিনি করেন না। পাশাপাশি বন্যার সময়ও তাঁকে বা তাঁর প্রতিনিধিদের এলাকায় দেখা যায়।’ এখন দেখার তৃতীয় বারের মতো কি ঘাটাল ‘জয়’ করবেন দেব? নাকি হিসাব বদলাবে?