সিপিএম-আইএসএফের জোড়া প্রার্থীতে দুশ্চিন্তা? প্রচারে বেরিয়ে বড় বার্তা কল্যাণের
এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৪
হুগলি জেলার শ্রীরামপুর কেন্দ্রে জমজমাট লড়াই। বিজেপি এখনও প্রার্থী না দিলেও ইতিমধ্যে এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম, আইএসএফ এবং তৃণমূল কংগ্রেস। চতুর্মুখী লড়াই হলে ভোট ভাগাভাগিতে কী সমস্যা হবে? তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে বেরিয়ে জানালেন, জেতার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।শনিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রচার শুরু করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালে চন্ডীতলার চন্ডী মাতার মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি।চন্ডীতলা, নৈটি, জনাই, বাক্সা এলাকায় পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করেন।পরে হুডখোলা জিপে রোড শো করেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বার শ্রীরামপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। চতুর্থবারের জন্য আবার লড়ছেন। তার বিপরীতে সিপিআইএম এর তরুণ মুখ দীপ্সিতা ধর। আইএসএফ সাহরিয়ার মল্লিককে প্রার্থী করেছে। বিজেপি এখনও তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
প্রচারে বেরিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রতিবারের মত চন্ডীতলার চন্ডীমাতার মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলাম।সাতটা বিধানসভা এলাকায় কর্মীসভা করেছ।’ তাঁর কথায়, এবার মানুষের কাছে ভোট চাইছি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হিসেবে আমাকে জেতান। তিনবার জিতেছি। ১৫ বছর রয়েছি মানুষের জন্য কাজ করেছি তাই মানুষ তো আসবেই।
শ্রীরামপুর কেন্দ্র নিয়ে বামেদের সঙ্গে আইএসএফের আসন সমঝোতা হলেও এই কেন্দ্রে দুই দলের তরফেই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হলেও এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নাম ঘোষণা করে দিয়েছে আইএসএফ। যদিও, বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। আইএসএফ প্রার্থীকে নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রত্যেকের ভোট দাড়ানোর অধিকার আছে। তাঁরা প্রচার করতেই পারেন। কার্যত, বিরোধীদের তিনি ধর্তব্যের মধ্যে রাখছেন না, এমনটাই স্পষ্ট করে দেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রে একাধিপত্য বজায় রেখেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবারও এক লাখের কাছাকাছি ব্যাবধানে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকারকে হারিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বদল করবে কিনা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।