প্রাক্তন মন্ত্রীর নাতি-অতীতে রাজনৈতিক ময়দানে 'রেকর্ড সাফল্য', জঙ্গিপুরে বকুলে ভরসা অধীরের
এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৪
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস বাজি মর্তুজা হোসেন ওরফে বকুল। কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার মুর্শিদাবাদে ‘সবুজ বিপ্লব’ এনেছিলেন বলে দাবি অনেকের। সেই আব্দুস সাত্তারের নাতি মর্তুজা হোসেন এবার কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন।আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু হেনা তিনবার লালগোলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। এবার সেই পরিবারের আর এক সদস্য লোকসভা নির্বাচনে নামছেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। বহরমপুরে এসে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন মর্তুজা হোসেন। জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে তাঁকে মালা পরিয়ে স্বাগতও জানানো হয়।
মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনটি আসন। বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় বহরমপুর ও জঙ্গিপুর আসন দুটিতে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রে লড়ছেন মহম্মদ সেলিম। সেই নিরিখে বহরমপুরে অধীর চৌধুরী এবং জঙ্গিপুরে মর্তুজা হোসেন হল বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। ১৯৯১ সাল থেকে রাজনীতির আঙিনায় ঘোরাফেরা করছেন বকুল। ১৯৯৮ সালে লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। ২০০৩ সালে নির্বাচনে জিতে জেলা পরিষদ সদস্য হন লালগোলা থেকে। এরপর ২০১৩ থেকে ২০১৮ কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ হন।
বুধবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এসে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস প্রার্থী। লালগোলা যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবারই প্রথম লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন । বকুল বলেন, ' জঙ্গিপুরে প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস আমার উপর ভরসা করেছে। তা রাখার জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা করব। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করেছি এবং জিতেছিলাম। লোকসভায় আগে লড়ার অভিজ্ঞতা না থাকলেও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। সাত্তার সাহেব যে কাজ করে গিয়েছেন তাঁর ভালো কাজের ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করব। পশ্চিমবঙ্গে তথা মুর্শিদাবাদ জেলাতে তার একটা সুনাম আছে। '
তিনি আরও জানান, 'মানুষের কাছে আবেদন জানাব একটা সুযোগ দেওয়ার। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেস খুব শক্তিশালী। জঙ্গিপুর নিয়ে আমি আশাবাদী।'
এই প্রার্থী আরও বলেন, 'আমরা যখন জেলা পরিষদে ছিলাম সেই সময়ে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। লালগোলাতে অনেকের বাড়ি থেকে তথ্য নিয়ে যাওয়া হলেও পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছায়নি। আগে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ছিলাম। কিন্তু, বরাদ্দ টাকা দেওয়া হয়নি। যদি ওই প্রজেক্ট সম্পন্ন হত তাহলে মুর্শিদাবাদে পানীয় জল নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকত না।'