অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চমকপ্রদ প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বহরমপুর আসন নিয়ে দুদিন আগেই এক জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, অধীর চৌধুরীকে হারাতে নয়, বহরমপুর আসন জিততে মরিয়া তৃণমূল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পালটা কটাক্ষ অধীরের। এই কেন্দ্রে তৃণমূল হারলে সেই হার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার হবে, এটা মেনে নেবেন তো? তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এভাবেই আক্রমণ অধীরের।অধীর চৌধুরী এদিন জানান, তৃণমূল কংগ্রেস এখানে তাঁকে হারানোর লক্ষ্যেই সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন। মাঝখানে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে ‘শিখণ্ডী’ করে লড়াইটা লড়তে চাইছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অধীর বলেন, ‘এই কেন্দ্রে আসলে বিজেপির দুটো প্রার্থী। তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করে আমাকে হারাতে চাইছে।’
এরপরেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অধীর। তিনি জানান, এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী যদি হারে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি স্বীকার করে নেবেন, এটা তাঁদের পরাজয়? তিনি বলেন, ‘তাঁদের প্রার্থী হারলে তাঁদের নিজেদের হার কি স্বীকার করে নেবেন? এটা তাঁরা বলুক। এটা যদি তাঁরা বলতে পারে, তাহলে এই লড়াইয়টা আরও উপভোগ করতে পারব।’
Lok Sabha Election : অধীরের সিক্সার রুখতে ইউসুফের সুইং
ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ মেনে এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়নি। আসন সমঝোতা না হওয়ায় জন্য বাংলার কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। তারপরেই এই আসনে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জোরদার কোনও প্রার্থী দেওয়া হবে বলেই জল্পনা ছিল। সকলকে চমকে দিয়ে এই আসনে প্রার্থী করে আনা হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে।
ইতিমধ্যেই, বহরমপুর আসন জুড়ে ঝোড়ো প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ফিনিশার। তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এই আসনে টানা পাঁচবারের জয়ী সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারাতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও, তৃণমূলের প্রার্থীকে নিয়ে অধীরের অভিমত, ক্রিকেটারকে যদি সম্মান দেওয়ার বিষয় থাকত, তাহলে রাজসভায় পাঠানো যেত। অনেক দলই রাজ্যসভায় নামী ক্রিকেটার, সেলিব্রিটিদের সাংসদ করে পাঠায়। আদতে এই কেন্দ্র থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারাতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল বলেই দাবি করেন তিনি।