• বেআইনি নির্মাণ রোধে কড়া আইনের ভাবনা পুরসভার
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: বেআইনি নির্মাণ রোধে আরও কড়া হওয়ার কথা ভাবছে কলকাতা পুরসভা। গার্ডেনরিচের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে শহরের কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতা হাইকোর্টের ল-অফিসারদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।তিনি বলেন, ‘বেআইনি নির্মাণ আটকাতে আইনগতভাবে আরও কঠোর হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে লালবাজারের তরফে পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রাখার জন্য আইপিএস মুরলী ধর শর্মাকে লিয়াজো অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীও।

    তাই বেআইনি নির্মাণ রোধে নতুন কড়া আইনের প্রস্তাব শুধু কলকাতা নয়, সারা রাজ্যেই প্রয়োগ করা হতে পারে বলে পুরসভার আধিকারিকরা মনে করছেন। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা জানান, বেআইনি নির্মাণ রোধে কলকাতা পুরসভার ১৯৮০ সালের পুর আইন অনুযায়ী ৪০০ নম্বর ধারার এক এবং আট নম্বর উপধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

    প্রথম নিয়মটির ক্ষেত্রে, বেআইনি নির্মাণ নজরে এলে বা অভিযোগ হলে প্রথমে নোটিস, তারপরে পুর ট্রাইবুনালে শুনানির মধ্য নিষ্পত্তির দিকে এগোনো হয়। কলকাতা পুরসভার আইন বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘বিল্ডিং আইনের ৪০০ নম্বর ধারার এক নম্বর উপধারা অমান্য করার অভিযোগে একজন অভিযুক্তের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।’

    পুর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শুধু কারাবাস নয়, এই আইন অমান্য করার অভিযোগে কারা বাসের পাশাপাশি সর্বোচ্চ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানাও হতে পারে। বেআইনি নির্মাণ রোধে ৪০০ নম্বর ধারার আট নম্বর উপধারা অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা হলো, নির্মাণে বড় ধরনের নিয়ম লঙ্ঘন এবং গাফিলতি প্রমাণিত হলে সরাসরি পুর কর্তৃপক্ষ ওই বেঅইনি নির্মাণকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিতে পারেন।

    গার্ডেনরিচের ঘটনার পরে বিল্ডিং আইনের ৪০০ নম্বর ধারার এক নম্বর উপধারাকে আরও কী করে কঠোর করা যায়, সেই রাস্তা খুঁজছেন পুর কর্তারা। শুক্রবার কলকাতা পুর কমিশনারের তরফে বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বেআইনি নির্মাণ খুঁজতে গিয়ে, নোটিস দিতে গিয়ে বা ভাঙতে গিয়ে কোথাও কোনও ইঞ্জিনিয়ার অসুবিধায় পড়লে বা বাধার সম্মুখীন হলে তাঁকে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারও বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)