• Garden Reach : গার্ডেনরিচের বিপজ্জনক স্কুলকে নতুন করে বানাবে রাজ্য সরকার
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: গার্ডেনরিচের একটি স্কুল বাড়িকে পুরোপুরি ভেঙে নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। গার্ডেনরিচের মুদিয়ালি বয়েজ হাইস্কুলের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। নানা অংশ ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে সেখানে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে না যায়, সে জন্য স্কুলবাড়িটিকে পুরোপুরি ডেমোলিশ করে সেখানে নতুন বাড়ি তৈরি করা হবে।বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে স্কুলটিকে পাশের মুদিয়ালি গার্লস স্কুলে শিফট করানো হবে। পরিবর্তন করা হবে স্কুল টাইমিংয়েরও। এই স্কুলের পরিচালন সমিতির প্রেসিডেন্ট বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৭ মার্চ এনিয়ে বিধানসভায় তিনি একটি বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে স্থানীয় কাউন্সিলার, স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মেয়র ও এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিমের থাকার কথা।

    গত রবিবার গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় ১১ জন ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মারা যান। তারপর থেকে এলাকার বেআইনি নির্মাণ ও বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। তখনই চোখে পড়ে এই বয়েজ স্কুলের ভগ্নদশা। যদিও এই সমস্যা বহুদিনের। সূত্রের খবর, এই স্কুলটির দুটি ভবন রয়েছে। তার মধ্যে একটি খুবই পুরোনো, অন্যটি অপেক্ষাকৃত নতুন।

    পুরোনো বাড়ির একাংশে আবার নতুন করে কিছু ঘর করা হয়েছে। সেগুলি বাদ দিয়ে প্রায় পুরো বাড়িটাই ভগ্নদশা। বিশেষ করে গ্রাউন্ড ফ্লোর, স্টাফ রুমের অবস্থা খুব খারাপ। বহু ঘরের চাঙর খসে পড়েছে, কোথাও এত খারাপ অবস্থা যে প্রাণে বাঁচাতে কর্তৃপক্ষই চাঙরগুলিকে খুলে নিয়েছেন। ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে কঙ্কালসার চেহারা।

    প্রায় ১৫০০ ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করে। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের ছাদ যাতে ভেঙে না পড়ে সে জন্য বাঁশ দিয়ে কোনও রকমে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। এমনকী শৌচালয়গুলিও নিরাপদ নয় বলে অভিভাবকরা জানাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের সামনে বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র সংগঠন এসএফআই।

    এরপর শুক্রবার স্কুল পরিদর্শনে যান কলকাতার ডিআই সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ স্কুলের প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পরে বলেন, ‘বিক্ষোভ দেখানোর কোনও মানেই হয় না। কারণ ইতিমধ্যেই আমরা পদক্ষেপ করছি। পুরোনো ভবনটি ভেঙে ফেলে নতুন করে বাড়ি উঠবে। ততদিন স্কুলটি লাগোয়া গার্লস স্কুলে শিফট করতে হবে। রাজ্য সরকার এই বাড়ি তৈরির যাবতীয় দায়িত্ব নিচ্ছে।’

    স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুষেন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বৈঠকেই ঠিক হবে আমাদের নতুন টাইমিং কী হবে, কারণ লাগোয়া গার্লস স্কুলটি বেলায় বসে। আমাদেরও সময় তখনই। কিন্তু একটি বাড়িতে দুটি স্কুল তো এক সময়ে চলতে পারে না। তাই আমাদের সময় পরিবর্তন করা হতে পারে।’
  • Link to this news (এই সময়)