মাটিতে ফেলে প্যান্ট ছিঁড়ে ধর্ষণের চেষ্টা বিখ্যাত মহিলা ক্রীড়াবিদকে, স্মার্ট ওয়াচের কল্যাণে প্রাণরক্ষা
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পদক। ক্রীড়বিদ হওয়ার কারণে একাধিকবার এদিক-ওদিক প্রশিক্ষণও নিতে হয় তাঁকে। তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত চ্যাম্পিয়ন রানার অ্যালিসন ওয়াকার। তবে কখনও এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে। এখনও ভুলতে পারছেন ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা। কয়েক দিন আগেই তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করেছেন বিখ্যাত এই ক্রীড়াবিদ। তবে শেষ পর্যন্ত স্মার্ট ঘড়ির কল্যাণেই বিপদ থেকে রক্ষা পান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।অ্যালিসন জানিয়েছন, সেসময় তিনি প্রশিক্ষণে ব্যস্ত ছিলেন। আচমকাই রাস্তার একটি ঝোপ থেকে বেরিয়ে আসে এক যুবক। ধাক্কে মাটিতে ফেলে দেয় তাঁকে। কিছু বুঝে ওঠার আগে খুলে নেয় হাফপ্যান্ট। সেই সময় ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকেন অ্য়ালিসন। এমনকী সব মূল্যবান জিনিস নিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে ছেড়ে দিতেও আর্জি জানান অ্যালিসন। তবে সেসব কথা কানে তোলে অভিযুক্ত ব্য়ক্তি। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় অ্যালিসনকে। এমন সময় অ্য়ালিসনের স্পোর্টস ওয়াচের অ্যালার্ট সক্রিয় হয়ে যায়। খবর পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। তখন ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
৩৬ বছর বয়সী অ্যালিসন ওয়াকার সম্প্রতি পর্তুগালের ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জে রেসের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণের কারণেই লন্ডন থেকে পশ্চিম ইয়র্কের হেপটনস্টল পর্যন্ত সফরে করছিলেন তিনি। ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যালিসন বলেন, 'মনে হচ্ছিল আগে থেকেই আমাকে ধর্ষণের প্ল্যান করেছিল অভিযুক্ত । সেই মতো প্ল্যানও সাজিয়েছিল। হঠাৎই আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে অভিযুক্ত আমায় জাপটে ধরে। মাটিতে ফেলে দেয়। সেই সময় আমার কন্ট্য়াক্ট লেন্সও খুলে যায়। ভালো করে দেখতেও পাচ্ছিলাম না। অভিযুক্তের মুখও স্পষ্ট করে দেখতে পাইনি। শুধু চিৎকার করতে থাকি। কোনও ভাবে সেখান থেকে পালিয়ে পৌঁছে যাই দুই বন্ধু কেভিন এবং শ্যারনের কাছে। অভিযুক্তর কবল থেকে নিজেকে বাঁচাতে তাঁরা আমায় সাহায্য করেন। পরে পুলিশকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানাই।'
হাতে, পায়ে ও মুখে সামান্য চোট
অ্যালিসন আরও জানিয়েছেন, একাধিকবার বহু জায়গায় তাঁকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে তবে এখনও পর্যন্ত এরকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি। ট্র্যাকে নিরাপদ বোধ করছেন না এমনটা কখনও হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের স্মার্ট ওয়াচটির কল্যাণেই নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ঘটনার পর থেকে এখনও চোখে মুকে আতঙ্ক অ্যালিসনের। হাতে, পায়ে, মুখে বেশ কয়েকটি জায়গায় সামান্য আঘাতও পেয়েছেন তিনি।
নিজে এরকম বিপদের সম্মুখীন হওয়ার পর অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের বিশেষ করে মহিলা ক্রীড়াবিদদের সতর্ক করেছেন অ্যালিসন। তাঁর সতর্কবাণী, যদি ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের আশপাশে কেউ প্রশিক্ষণের কথা ভেবে থাকেন তবে যেন অবশ্যই অন্য় আর একজনের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেন। একা এই পথে প্রশিক্ষণ না নিতেই সকলকে পরামর্শ অ্যালিসনের। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে। শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।