Bihar Inter Result 2024 : বাবা কৃষক, মা রাঁধুনি! অনলাইনে পড়ে দ্বাদশের পরীক্ষায় ফার্স্ট প্রিয়া
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
সদ্য বেরিয়েছে বিহার স্কুল পরীক্ষা বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল। শনিবার দুপুর ১.৩০ মিনিটে ফলাফল প্রকাশ পায়। বিএসইবির চেয়ারম্যান আনন্দ কিশোর আনুষ্ঠানিকভাবে বিহার স্কুল পরীক্ষা বোর্ড দ্বা পরিচালিত ১২তম বোর্ড পরীক্ষার ২০২৪ এর ফল ঘোষণা করেন। বানিজ্য বিভাগে প্রথম হয়েছেন বিহারের শেখপুরার বাসিন্দা প্রিয়া কুমারী।কলেজ অফ কমার্সের ছাত্রী প্রিয়া কুমারীর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৮। ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে প্রিয়া। প্রিয়ার বাবা পেশায় গ্রামের একজন কৃষক। মা গৃহবধূ। এহেন পরিবারে জন্মানো প্রিয়া ছোটবেলা থেকেই খুব উজ্জ্বল ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় ছোটো থেকেই তেমন শিক্ষক রেখে পড়ার সুযোগ পাননি প্রিয়া। তবে তিনি বরাবরই প্রথমস্থানে থাকতে চেয়েছেন।
ছোট থেকে তাঁর একমাত্র সঙ্গী ছিল তাঁর কঠোর অধ্যাবসায়। তিনি তাঁর ইন্টার কমার্সের পুরো পড়াই অলাইনে পড়েছেন। অফলাইনে ক্লাস করার সুযোগ না থাকায় অনলাইনেই পড়েছেন প্রিয়া কুমারী। তিনি জানিয়েছেন, অনলাইনে দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা নিয়মিত পড়াশোনা করে নিজের পাঠ্যক্রম শেষ করেছেন প্রিয়া। সেইসঙ্গে পরীক্ষার সময় আগের বছরের প্রশ্নপত্রও নিয়মিত সমধান করেছেন তিনি। যা তাঁকে পরীক্ষায় অনেকটাই সাহায্য করেছে।
প্রিয়া কুমারী নিজের সাফল্যের জন্য তাঁর বাবা মাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁতিনি জানিয়েছেন, একদিকে যেমন তাঁর বাবা নিজের মেয়ের জন্য সারাদিন মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। অন্যদিকে তেমনি তাঁর মাও সর্বক্ষণ মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন। আর সেই কারণে ঘরের কাজকর্ম থেকে সব সময় মেয়েকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন।
বিহার ইন্টার কমার্সের ফলাফলের কথা বলতে গেলে আরেকজন ছাত্রের কথা বলতেই হবে।তিনিও কলেজ অফ কমার্সের ছাত্র সৌরভ কুমার। ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সৌরভ। পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৭০। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পাটনার বাসিন্দা গুলশান কুমার। বানিজ্য শাখায় ৯৩.৮০ শতাংশ পেয়েছেন গুলশান কমার। গুলশান কুমার জিডি পাটলিপুত্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
বিএসইবি চেয়ারম্যান অনন্দ কিশোরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৯৬.২০ শতাংশ নম্বর নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে শীর্ষ স্থানে আছে সিওয়ানের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় কুমার। এছরের ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষায় আরও একবর ছেলেদের পেছনে ফেলে দিয়েছে মেয়েরা। মেয়ে শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৮৮.১১ শতাংশ। সেখানে ছেলেদের পাশের হার ৮৫.৬৯ শতাংশ।