Narendra Modi : ৮ টাকার চা, ১০ টাকার সিঙাড়া! কমিশনের রেট চার্ট অনুযায়ী নির্বাচনে কত খরচ করতে পারবেন মোদী?
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। প্রায় প্রতিটি দলই বেশিরভাগ লোকসভা আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে ফেলেছে। প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। জমে উঠেছে প্রচার পর্বও। ব়্যালি, জনসভা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে ঝড় তুলতে শুরু করেছে নেতারা। এই মর্মে বিশেষ ফোকাস রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর উপর।লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ম্যারাথন প্রচার পর্বে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। রাজসূয় সেই কর্মযজ্ঞে খরচের বহরও নেহাত কম নয়। নির্বাচনে ঠিক কত টাকা খরচ করতে পারবেন নমো?
নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রার্থীর ভোটের প্রচারে খরচ করা অর্থের সীমাবদ্ধতা থাকে। জানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক কত টাকা খরচ করতে পারবেন এবারের লোকসভা নির্বাচনে?
মোট কত খরচ করতে পারবেন মোদী?লোকসভা ভোটে প্রত্যেক প্রার্থীকে প্রচারের ক্ষেত্রে চা-বিস্কুট থেকে শুরু করে পাতাকা, ফেস্টুন, গাড়ি সমস্ত কিছুর পিছনে ব্যয়ের হিসেব দিতে হয় কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনও প্রার্থী ৯৫ লাখ টাকার বেশি নির্বাচনী প্রচারে খরচ করতে পারবেন না। সভা এবং ব়্যালির জন্য একটি রেট চার্টও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় জনতা পার্টি লোকসভা নির্বাচনের প্রথম প্রার্থীতালিকাতেই নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা করেছে। এবারও উত্তর প্রদেশের বারাণসী আসন থেকে লড়ছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদীকেও তাঁর নির্বাচনের প্রচারে হওয়া সমস্ত খরচের হিসেব কমিশনে জমা করতে দিতে হবে।
কমিশনের রেট চার্টপ্রত্যেক প্রার্থীর ব়্যালি, বিজ্ঞাপন, পোস্টার, ব্যানার, যানবাহন থেকে শুরু করে চা-বিস্কুটের খরচের হিসেবও নির্বাচন কমিশনে জমা করতে হয়। গ্রামীণ এলাকায় নির্বাচনের প্রচারের জন্য দলীয় কার্যালয় ভাড়া নেওয়ার খরচ রাখা হয়েছে সর্বাধিক পাঁচ হাজার টাকা। শহরের ক্ষেত্রে সেই ভাড়া ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ১০ হাজার টাকার বেশি ভাড়ার কোনও কার্যালয় ভাড়া করতে পারবেন না।
এক কাপের চায়ের জন্য ধার্য আট টাকা। একটি সিঙাড়ার জন্য ১০ টাকা। বরফি ২০০ টাকা কিলো, বিস্কুট ১৫০ টাকা কিলো, ব্রেড পকোড়া ১০ টাকা, স্যান্ডউইচ ১৫ টাকা এবং জিলিপি ১৪০ টাকা কিলো ধার্য করেছে কমিশন। এভাবে প্রতিটি বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ খরচের হিসেব কমিশনের হাতে তুলে দিতে হবে খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও। লোকসভা নির্বাচনে বিগত ২০ বছরের এই খরচের ঊর্ধ্বসীমা চারগুণ বেড়ে গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনী খরচের জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে রাখতে হবে। প্রচারের প্রতিটি খরচ সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ করলে তা চেকের মাধ্যমে করতে হয় প্রার্থীদের।
ইতিমধ্যেই গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে কমিশন। ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশে কার্যকর হয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। এই সময়ের মধ্যে কোনও দলের প্রার্থী কিংবা কর্মী নিজের সঙ্গে সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা নগদ রাখতে পারবেন। ১০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের বস্তু রাখতে পারবেন না নিজের কাছে। এই ধরণের কোনও নিয়ম লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে কমিশন।