• ফের নৃশংসতার নজির, বিষ দিয়ে ৩ পথ কুকুরকে খুনের অভিযোগ বনগাঁয়
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
  • 'জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর', স্বামী বিবেকানন্দের এই উক্তি যেন এখন বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ। জীবে প্রেম তো দূরের কথা, অবলা পশুদের প্রাণ নিতে রাতের অন্ধকারে খাবারে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল বনগাঁর দীনবন্ধু নগর এলাকায়। ইতিমধ্যেই থানায় দায়র করা হয়েছে অভিযোগ।রাতের অন্ধকারে এলাকার একাধিক সারমেয়কে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। বিচার চেয়ে থানার দ্বারস্থ এক মহিলা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে এলাকার বেশকিছু সারমেয়কে খাইয়ে দেয়। সেই বিষ দেওয়া খাবার খেয়ে তিনটি সারমেয়র মৃত্যু যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে আরও বেশ কয়েকটি সারমেয়। সকালে এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা রায় প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন। বাড়ির সামনে তিনটি সারমেয়র মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। বেশ কয়েকটি সারমেয়কে অসুস্থ হয়ে বমি করতে দেখে তিনি অনুমান করেন, হয়ত সেগুলিকে বিষ দেওয়া হয়েছে। এরপর পশু চিকিৎসকে খবর দেন সুস্মিতা দেবী। বর্তমানে অসুস্থ সারমেয়গুলির চিকিৎসা চলছে।

    এই ঘটনার পর সুস্মিতা রায় বিষয়টি বনগাঁ একটি পশুপ্রেমী সংগঠনকে জানালে, তারাই উদ্যোগ নিয়ে এলাকার অসুস্থ সারমেয়দের চিকিৎসা শুরু করে। তবে শুধু এখানেই থেমে থাকেননি গৃহবধূ সুস্মিতা। বিচার চেয়ে থানার দারস্থ হন তিনি। দোষীর শাস্তির দাবিতে থানাতে একটি অভিযোগও দায়ের করেন সুস্মিতা। ইতিমধ্যেই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    গত মাসেও সারমেয়দের উপর অত্যাচারের একটি ঘটনা সামনে আসে। নৃশংসতার সেই ছবি দেখে রীতিমত শিউরে ওঠেন মানুষজন। নিমতা থানার অন্তর্গত প্রতাপগড় এলাকার এক সারমেয় খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। পথ কুকুরকে শিক্ষা দিতেই বাঁশের আগায় পেরেক পুঁতে, সেই বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে চার যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পথে নামেন পশুপ্রেমীরা।

    নৃশংসভাবে ওই পথ কুকুরকে খুনের অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হন এাকার পশুপ্রেমীরা। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে রীতিমতো বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করেন তাঁরা। সেই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনার ছড়ায় এলাকায়। নৃশংসভাবে ওই সারমেয় খুনের ঘটনা সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ উগরে দেন অনেকে।
  • Link to this news (এই সময়)