শান্তিপুরে দেদার বিকোচ্ছে ‘টিএমসি আঙুর মিষ্টি’, ভোটের ফলেও কি স্বাদবদল?
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক দলের প্রার্থীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছে। রাজ্য জুড়ে জমজমাট প্রচার যেমন হচ্ছেই, তেমনই প্রচারের নানা উপকরণের জন্য লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। ভোটের বাজারে এবার লক্ষ্মী লাভ হচ্ছে শান্তিপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ীর। কিন্তু কী করে? জেনে নেওয়া যাক বিষয়টা।ভোটের বাজারে নদিয়া জেলার শান্তিপুরে এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীর দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে টিএমসি আঙুর মিষ্টি। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। দেদার মিষ্টি বিক্রির সঙ্গে কী ভোটের পাল্লা ভারী হওয়ার বিষয়টি সম্পর্ক যুক্ত? অনেকেই কিন্তু দাবিও করছেন তেমন।
লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে নদিয়ার শান্তিপুরে দেদার বিক্রি হচ্ছে টিএমসি আঙুর মিষ্টি। যা কিনতে সাধারণ মানুষের ঢল মিষ্টির দোকানে। নদিয়ার শান্তিপুর থানার মোড় এলাকার প্রসিদ্ধ মিষ্টি ব্যবসায়ী দিলীপ কুন্ডুর মিষ্টির দোকান ‘লোকনাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার’। সেই দোকানেই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৈরি করা হয়েছে টিএমসি আঙুর ফল মিষ্টি। ক্ষীর, ছানা এবং ভেষজ রং ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই টিএমসি আঙুর ফল মিষ্টি।
'জগাসুরকে বধ করে নদিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনব' আশ্বাস মুকুটমণি অধিকারীর
যদিও দোকানদার জানাচ্ছেন, লোকসভা ভোটের আগে এই মিষ্টি তৈরি করে তিনি অনেকটাই লাভের আশা দেখছেন। আড়াইশো টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে টিএমসি আঙুর ফল মিষ্টি। ক্রেতারা জানাচ্ছেন দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছে এই মিষ্টির খোঁজ। তাই আড়াইশো টাকা প্রতি কেজি দরে মিষ্টি কিনে তার স্বাদ উপভোগ করছে তাঁরা। তবে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাই বেশি করে এই টিএমসি আঙুর ফল কিনছেন এমনটাই জানাচ্ছেন দোকানদার। যদিও নতুনত্বের ছোঁয়া রাখতে এবং ভোটের আগে সাধারণ মানুষকে নতুন মিষ্টির স্বাদ উপভোগ করাতেই তাদের এই প্রয়াস বলে জানান দোকানের মালিক।
প্রসঙ্গত, এই শান্তিপুর এলাকা নদিয়া জেলার অন্তর্গত রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গতবার এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এবারেও বিজেপির টিকিট নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে ভোটের কিছুদিন আগে স্থানীয় রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তারপর থেকেই খেলা অনেকটা ঘুরে যায়। তাঁকেই এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ। তবে এই কেন্দ্রের ফলাফল কি এবার পাল্টাবে? সেটা বলবে সময়।