‘অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ আনা হোক’, ভোটের আগে দাবি শুভেন্দুর
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে রদবদল করেছে নির্বাচন কমিশন। একাধিক জেলাশাসক পদেও রদবদল করা হয়েছে। তবে ভোট পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের উপরেও ভরসা রাখতে রাজি নয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাইরের রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে এসে ভোট পর্যন্ত রাখার দাবি করলেন তিনি।শনিবার হাওড়ায় একটি নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। পাশাপাশি, ভোটের মুখে পুলিশ ‘দলদাস’-এর মতো আচরণ করছে বলেও দাবি তাঁর। এরপরেই তাঁর বক্তব্য, প্রয়োজনে বাইরের রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে এসে ভোট পর্যন্ত রাখা হোক।
ভোটের আগেই রাজ্যের একাধিক বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে বলব, পুলিশকে শুধু ভোটের দিন নয়, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে সরিয়ে রেখে প্রয়োজন হলে অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ অফিসারদের নিয়োগ করে এই রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হোক।’ তাঁর কথায়, এই ভাবেই রাজ্যের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী পরিবেশ বজায় থাকবে।
Suvendu Adhikari:'আমার মা-ও এক কাপড়ে ওপার থেকে চলে আসেন', CAA নিয়ে সরব শুভেন্দু
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে বিজয় সঙ্কল্প সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন প্রায় পাঁচশ জন কর্মী। শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘এবারের নির্বাচন অন্যরকম হবে। ভোট লুঠ করতে দেওয়া হবে না। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের কি উপকার হবে তা বোঝান বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, সারা রাজ্যে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।খেজুরিতে তপশিলিদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। পিংলায় দেহ পাওয়া গিয়েছে। এদিনের সভা থেকে সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়েও মত দেন তিনি তাঁর কথায়, অধিকাংশ সংখ্যালঘু সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শাহজাহানের মতো কিছু লোক সুবিধা ভোগ করেছে। গার্ডেনরিচে যারা মারা গিয়েছেন, তারাও সংখ্যালঘু। তবে এই সম্প্রদায়ের মানুষজন এবার বুঝতে শিখেছেন। তাই সিএএর বিরোধিতা করেনি বলে দাবি তাঁর। এদিনের সভা থেকে মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তোলেন, ‘দেশদ্রোহীতা প্রমাণিত হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল যদি জেলে থাকেন, তাহলে মহুয়া মৈত্র বাইরে থাকবেন কেন?’