হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে কড়া টক্কর বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার সিঙ্গুরে প্রচারে বেরিয়ে এক ভোজে যোগ দেন রচনা। বেড়াবেড়িতে দিনমজুর মানিক বাগের বাড়ির মাটির দাওয়ায় বসে খাওয়াদাওয়া সারেন তিনি। মেনুতে ছিল, ভাত,বড়ি ভাজা,পটল ভাজা, শুক্তো, ভেজ ডাল, বেগুনি, আলু পোস্ত, চাটনি ও টক দই।খাবার খেয়ে রচনা বলেন, 'এখানকার দই এত ভালো, আমি তো ভাবছি ব্যাগে করে দই নিয়ে যাব। যতবার আসব ততবার দই নিয়ে যাব। সিঙ্গুরে এত ঘাস গাছপালায় ভর্তি। সেগুলো গোরু খাচ্ছে। গোরু তো শাকপাতা খেয়েই বড় হয়। আর সেগুলো খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। ফলে তার যে দুধটা বের হয়, তা এত ভালো যে, দইটাও এত ভালো।'
তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্যে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'একদম সত্যি কথা বলেছেন। আমি ওঁকে ধন্যবাদ জানাব। সিঙ্গুরে তো গোরুই চড়ছে। ঘাস পাতাই হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্ষের বীজ ছড়িয়ে গিয়েছিলেন। সিঙ্গুরে তো কোনও শিল্প করেননি। সিঙ্গুরে চাষও হয়নি, তাই ঘাসই দেখা যাচ্ছে। তিনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি হয়ে সঠিকটাই বলেছেন। ওখানে গরু চড়ছে, আর ঘাস খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে দুধ দিচ্ছে সেই দুধ দিয়ে দই হচ্ছে। আমি ওঁর বাড়িতে দই পাঠিয়ে দেব। জেতার পর আমি নিজে হাতে করে ওঁকে দই পাঠিয়ে দেব। শুধু এটুকু বলব, এটা বলুন কেন সিঙ্গুরে ঘাস হল? কেন টাটার কারখানা হল না? কেন চাষিরা চাষ করতে পারল না?
এদিন মাটির দাওয়ায় বসে খাওয়াদাওয়া সারেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা বলেন, 'আগে কোনওদিন খাইনি। আমি খুব আনন্দ করে খেলাম, ভালো লাগল। মাটির বাড়ি খুব ঠান্ডা হয়। কিন্তু যারা এখানে থাকেন, তাঁদের জন্য কষ্ট পেলাম। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দিনের পর দিন কষ্ট করে থাকছেন। তাঁদের কথা শুনে খুব কষ্ট লাগছে। তাঁরা সবসময় ভয়ে থাকেন, কখন ঝড়জল আসবে, বাড়ি ভেঙে পরবে বা টালি উড়ে যাবে। আমি যদি সংসদে যেতে পারি তাহলে আবাসের প্রসঙ্গ তুলব। যাতে কেন্দ্র টাকা দেয়।' রচনার এই মন্তব্যেরও পালটা দেন লকেট। তিনি বলেন, 'মাটির বাড়ি তো ভালো লেগেছে। কিন্তু একবারও কী ভেবেছেন, যাঁরা মাটির বাড়িতে আছেন, তাঁরা কেন টাকা পাননি।'