অনুপ দাস: শনিবার তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের জন্য ঘটনাবহুল দিন। এদিন সকালের দিকে আলিপুরে মহুয়ার বাবা ডি এল মৈত্রের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই এর একটি টিম। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলে তল্লাসি। এরপর সন্ধেয় কৃষ্ণনগরে মহুয়ার নির্বাচনী কার্যালয়ে যায় সিবিআই টিম। পাশাপাশি কার্যালয়ের পেছনে মহুয়া মৈত্রের অস্থায়ী আবাসেও ঢোকে সিবিআই টিম। একইসঙ্গে করিমপুরে মহুয়ার পৈতৃক বাড়িতেও পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। উঠে আসে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় যখন ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দরানি সুপ্রিম কোর্টে হলফনাম দিয়ে জানিয়ে দেন তিনি মহুয়ার কাছ থেকে সংসদের লগ ইন, পাসওয়ার্ড জেনে সেখানে প্রশ্ন করতেন। কিন্তু ঘুষের কথা তিনি স্বীকার করেননি। এরপরই মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তার জেরেই শেষপর্যন্ত মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ হয়ে যায়।শনিবার রাতে সিবিআইয়ের একটি টিম পৌঁছে যায় তাঁর করিমপুরের পৈতৃক বাড়িতে। টিমের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি দল। কৃষ্ণনগরে মহুয়ার অস্থায়ী রাত্রিবাসের জায়গায় ঢুকে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের ৫-৬ জনের একটি টিম। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই রাত দশটা নাগাদ অফিসাররা বেরিয়ে যান। খবর পেয়েই ছুটে আসেনব তৃণমূল সমর্থকরা। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ওঁরা এসেছিলেন। কিছু পাননি। জড়ো হওয়া তৃণমূল সমর্থকরা জয় বাংলা স্লোগান তুলে এলাকা তোলপাড় করেন। মহুয়ার অস্থায়ী বাসভবন থেকে কী পাওয়া গেল তা নিয়ে কোনও কিছু বলতে চায়নি সিবিআই টিম। এদিন সকালে সিবিআইয়ের একটি টিম যায় মহুয়া মৈত্রের বাবা পেশায় ব্যবসায়ী দীপেন্দ্রলাল মৈত্রের আলিপুরে ফ্ল্যাটে। বেশ খানিকক্ষণ ধরে সেখানে থাকে সিবিআইয়ের টিম।