নান্টু হাজরা ও বরুণ সেনগুপ্ত: নিউটাউনে কারিগরি ভবনের পেছনে নালার পাশে পড়ে থাকা একটি স্যুটকেসে মিলল এক ব্যক্তির দেহ। ওই ঘটনায় পটাসপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞসাবাদ চালাচ্ছে পুলিস। জানা যাচ্ছে মৃত ব্যক্তির নাম সুবোধ সরকার।আরও পড়ুন-'রাজ্যে চোরে ভরে গিয়েছে, যেখানে ঢিল মারবেন সেখানেই......', সরব সুকান্ত
পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল রাতে পটাশপুরে যখন নাকে চেকিং চলছিল সেইসসম একটি অ্যাপ ক্য়াবকে আটক করে পুলিস। গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানে রক্তের দাগ দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় ক্যাবের চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যাবের চালককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। পুলিসকে সে জানায় সে এক ব্যক্তিকে খুন করে দেহ নিউ টাউনের একটা খালের ধারে ফেলে এসেছে।ওই কথা শোনার পরই ক্যাব চালাক সৌম জানাকে পুলিস আটক করে। কী কারণে ওই খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মনে রা হচ্ছে কোনও আর্থিক বিষয় এর পেছনে থাকতে পারে। পুলিস সূত্রে আরও খবর, বাড়ি বিক্রি ও প্রিন্টিং প্রেস বিক্রির টাকা আত্মস্যাত্ করার একটা তত্ত্ব উঠে আসছে।সূত্রের খবর, যিনি খুন হয়েছেন তাঁর প্রেসের ব্যবসা রয়েছে। আদতে তিনি ওড়িশার বাসিন্দা। সেই প্রেস বিক্রি করে বেলঘড়িয়ার একটি জায়গায় বাডি় ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। গত ২ বছর তিনি বেলঘড়িয়ার নন্দননগরে ভাড়া বাড়িতেই ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে দেখাশোনা করার জন্য একটি মেয়ে ছিল। সেই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসবাদ করছে পুলিস। প্রিন্টিং প্রেস বিক্রি করে একটি মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর হাতে আসে। সেই টাকা তিনি একটি সেসরকারি ব্যাঙ্কে জনা করেন। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে ওই ব্যাঙ্কের এক কর্মীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই ব্যাঙ্ক কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।যে ব্যাঙ্ক কর্মীকে আটক করা হয়েছে তার নাম সৌম জানা। তিনি ব্যাঙ্কের রিলেশন অফিসার হিসেব কাজ করতেন। ওই বিপুল টাকা সম্পর্কে জানতেন সৌম্য জানা। ফলে ওই টাকার জন্যই খুন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।