Arvind Kejriwal News: কেজরির গ্রেফতারিতে মন্তব্য! জার্মান কূটনীতিককে ডেকে কড়া কথা ক্ষুব্ধ কেন্দ্রের
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ভারতের জার্মান দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক জর্জ এনজওয়েলার। জানিয়েছিলেন, তাঁর আশা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রযুক্ত হবে কেজরিওয়ালের বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও। তবে তাঁর এই মন্তব্য ভালো ভাবে নেয়নি নয়া দিল্লি। জার্মান রাষ্ট্রদূতের কেজিরওয়ালের সম্পর্কে এই মন্তব্যকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে।শুধুমাত্র জার্মান কূটনীতিকের মন্তব্যের বিরোধিতাই নয় শনিবার তাঁকে নয়াদিল্লিতে তলব করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। শনিবার সকালে সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বেরোতে দেখা যায় ওই কূটনীতিককে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, তাঁকে তলব করে ভবিষ্য়তে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আর্জি জানানো হয়েছে। শনিবার বেলার দিকে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, 'আমরা এই ধরনের মন্তব্য়কে আমাদের বিচার প্রক্রিয়া ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা হিসেবেই দেখছি।'
ভারতের জার্মান দূতাবাসের সহকারী প্রধান এনজওয়েলার। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে গ্রেফতারি নিয়ে তিনি বলেন, 'কেজরিওয়ালও যে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তির মতোই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার দাবিদার। কোনও রকম বিধিনিষেধ ছাড়াই তিনি যেন সব ধরনের আইনি সহযোগিতা পান। আইনের শাসনের মূল বিষয়ই হল অভিযুক্ত নিরপরাধ। এই ধারণায় প্রথম আসা। এই নীতি প্রযোজ্য কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রেও।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ দিল্লি আবগারি গ্রেফতার করা হয় আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ইডি দফতরেই কাটে রাত। নিয়ম মাফিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে হাজির করানো হয় আদালতে। শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার এজলাসে শুনানি ছিল কেজরির মামলার। সমর্থকদের উদ্দেশে জেল থেকে বার্তা পাঠিয়েছেন কেজরিওয়াল, যা শনিবার পড়ে শোনান তাঁর স্ত্রী সুনীতা। আর তাতেই জল্পনা দানা বাঁধছে, তবে কি প্রাক্তন আইআরএস অফিসার সুনীতাকে বকলমে সিএম কুর্সিতে বসাতে চলেছেন কেজরি, যার নজির ১৯৯৭ সালে গ্রেপ্তারির সময়ে রেখেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কিছুটা কটাক্ষের সুরেই বলেন, এক সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা কেজরিওয়াল এখন লালুপ্রসাদদের জোটে ভিড়েছেন। ফলে তাঁদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে কেজরিওয়ালও নিজের স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নামাচ্ছেন! দিল্লির বিজেপি নেত্রী বাঁশুরি স্বরাজের আবার মন্তব্য, 'আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপ নেতারা ও তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন৷ দুর্নীতিমুক্ত দিল্লি গঠনের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা কেজরিওয়াল জনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন৷ এখন দুর্নীতি ঢাকতে স্ত্রীকে সামনে এনে রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করাচ্ছেন, লজ্জাজনক!