DY Chandrachud: ট্রোলিংয়ের শিকার খোদ দেশের প্রধান বিচারপতি! অভিজ্ঞতা শেয়ার ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি। সেই তিনি ট্রোলিংয়ের শিকার থেকে বাদ পড়লেন না। নেট দুনিয়ায় ট্রোলিংয়ের ফাঁদ পাতা। তাতে কখন যে কাকে নিয়ে ট্রোল বা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হবে কিংবা কে যে কখন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বিষয় নিয়েও হাসির খোরাক হয়ে উঠবেন বলা মুশকিল। আমজনতা তো ছাড় পানই না। এবার বাদ পড়লেন না খোদ দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। নিজেই জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে একটি ভিডিয়ো ঘিরে তিনি কী ভাবে ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন। বলেন, 'ভয়াবহ অপব্যবহারের শিকার হয়েছিলাম আমি। ট্রোলিং শুরু হয়ে যায় একটি ভিডিয়ো নিয়ে।'শনিবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তাঁর অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, 'মাত্র চার পাঁচ দিন আগেকার কথা। আমি একটি মামলা শুনছিলাম। অল্প ব্যথা হচ্ছিল আমার পিঠে। তাই আমি আমার চেয়ারে কনুই রেখে নিজের অবস্থানটা বদলে ছিলাম। আর এই অংশটুকুর ভিডিয়ো নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন ওঠে, কী করে একজন বিচারপতি শুনানি চলাকালীন সেখান থেকে চলে যেতে পারেন।'
একথা ভাগ করে নিতে গিয়েই প্রধান বিচারপতি বলেন, 'কেউ একবারও এই কথাটা বলেননি যে আমি আমার অবস্থানটা শুধুমাত্র বদলেছিলাম। ২৪ বছর ধরে বিচার করে যাওয়াটা সত্যি একটু বেশি শ্রমসাধ্য বিষয়। তবে আমি আদালত ছেড়ে যাইনি। শুধুমাত্র চেয়ারে নিজের অবস্থানটা বদলে ছিলাম। আর তা নিয়েই আমাকে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হল। তবে আমার বিশ্বাস, আমাদের কাঁধ যথেষ্ট মজবুত। সাধারণ নাগরিকের মতো যে কাজই আমরা করি না কেন, তা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়েই করি।'
সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে কাজের স্ট্রেস। স্ট্রেসের সঙ্গে কাজের দুনিয়ার ভারসাম্য় বজায় রাখার প্রসঙ্গে এদিন বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমরা প্রায়ই চিকিৎসক ও শল্য চিকিৎসকদের বলি, নিজেদের সুস্থ রাখার কথা। অর্থাৎ অন্যকে সুস্থ রাখার আগে নিজেকে সুস্থ রাখাটা আবশ্যিক। তা আগে শিখতে হবে। বিচারপতিদের জন্যও এটা একইরকম সত্য।' কর্নাটক স্টেট জুডিশিয়াল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত 'ইকুয়ালিটি অ্যান্ড এক্সিলেন্স ফর এ ফিউচারিস্টিক জুডিশিয়ারি' শীর্ষক জুডিশিয়াল অফিসারদের ২১তম দ্বিবার্ষিক রাজ্য স্তরের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এর আগে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ১৯৯৮ সালে ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। বম্বে হাইকোর্টে ওকালতি করেছেন। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন।