• ISIS জঙ্গি হতে ইচ্ছুক IIT-র মেধাবী! পুলিশের হাতে আটক ছাত্র
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
  • আইআইটি-গুয়াহাটির এক ছাত্রকে আটকে করেছে অসম পলিশের এসটিএফ। অভিযোগ, ওই ছাত্র জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস-এ যোগ দিতে যাচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শনিবার সন্ধ্যায় হাজো থেকে আটক করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে অসমে ঢোকার পরে ধুবুড়ির ধর্মশালা এলাকা থেকে ধরা পড়ে আইএসের ভারতীয় শাখার প্রধান হ্যারিস ফারুকি ও তার সঙ্গী রেহান। তার চার দিন পর পাকড়াও করা হল ওই ছাত্রকে।অসম পুলিশের ডিজিপি জিপি সিং টুইটারে একটি পোস্টে বলেছে IIT গুয়াহাটির একজন ছাত্রের ISIS-এ যোগ দিতে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, তৌসিফ আলি ফারুকি নামে ওই পড়ুয়াকে গুয়াহাটির পানবাজার এলাকা থেকে আইএসের সদস্যেরা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। দিল্লির পোখরার জাকি নগরের বাসিন্দা তৌসিফ আলি। সামাজিক মাধ্যমে লেখা পরিচয় জানাচ্ছে, সে আইআইটির বায়োটেকনোলজি ও বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চতুর্থ সিমেস্টারের ছাত্র। ২০২০ সাল থেকে তৌসিফ নিজের প্রোফাইলে পুরোপুরি জেহাদের বার্তা লিখে গিয়েছে।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (STF) কল্যাণ কুমার পাঠকের কথায়, একটি ইমেল পাওয়ার পর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে ও তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ছাত্রই পাঠিয়েছিল ইমেলটি। ইমেলে তাঁর দাবি ছিল, যে সে ISIS-এ যোগ দিতে চলেছে। পাঠকের কথায়, ইমেলটি পাওয়ার পরেই যোগাযোগ করা হয়েছিল IIT গুয়াহাটির আধিকারিকদের সঙ্গে। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই ছাত্র বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল ও তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। তিনি জানিয়েছেন, আটক হওয়া অভিযুক্ত চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও দিল্লির ওখলার বাসিন্দা।

    STF অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ছাত্রকে

    এএসপি পাঠক জানিয়েছেন, ছাত্রটির জন্য একটি সার্চ অপারেশন শুরু করা হয়। সন্ধ্যার দিকে, স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে ওই ছাত্রকে পাকড়াও করা হয় গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে হাজো এলাকা থেকে। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে নিয়ে আসা হয়েছে STF অফিসে। ওই ইমেল পাঠানোর পেছনে কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা যাচাই করতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    হস্টেলের রুম থেকে উদ্ধার ISIS-এর কালো পতাকা

    পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ছাত্রদের হস্টেলের ঘরে ISIS-এর মতো একটি কালো পতাকা পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি পরীক্ষা করার জন্য নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করা বিশেষ তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হবে। তিনি জানিয়েছেন, হস্টেলের রুম থেকে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে এখনই বেশি কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। ইমেল পাঠানোর কারণও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কিছু তথ্য দিয়েছে, তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)