‘লিড না দিলেই পদ ছাড়তে হবে’, TMC বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক, সমালোচনা BJP-র
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
লোকসভা কেন্দ্র ধরে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। টার্গেট পূরণ না হলে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এলাকার পদাধিকারীদের পদ থেকে অপসারিত হতে হবে। দলীয় সভায় এমনটাই হুঁশিয়ারি হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজার। এই মন্তব্যের পালটা সমালোচনা করেছে বিজেপি।লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে উলুবেড়িয়া লোকসভার ৭ টি বিধানসভার মধ্যে মার্জিনের ক্ষেত্রে টার্গেট বেধে দিলেন হাওড়া গ্রামীন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের দলের নির্বাচনী কমিটির আহবায়ক উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা।
শনিবার বিকেলে উলুবেড়িয়া উদয়নারায়নপুরের খিল নয়াচকে তৃণমূলের বর্ধিত সভা থেকে দলের নেতা কর্মীদের এই টার্গেট বেধে দেন সমীর পাঁজা। এদিন তিনি বলেন, ‘মার্জিনের ক্ষেত্রে ১ নং-এ থাকতে হবে। কোনভাবেই ২ বা ৩ নং হওয়া যাবেনা। তবে জন্য যদি মনে হয় ২০০৯, ১০, ১১ এর অবস্থায় ফিরতে হবে , প্রয়োজনে সেই অবস্থায় ফিরতে হবে। আর তার জন্য যে যে ভাষা বোঝে তার জন্য সেই ভাষা প্রয়োগ করতে হবে।’
পাশাপাশি, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের বিশেষ সতর্কতা দেন তিনি। দলের নেতা-নেত্রীদের সর্তক করে বলেন, ‘উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান, ২৪৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যা, ৪৮ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সদস্যা এবং ৪ জন জেলাপরিষদের সদস্য সদস্যা শুনে নিন যার জায়গা থেকে মার্জিনে ঘাটতি থাকবে ৫ জুন তাকে তার পদ খালি করে দিতে হবে।’
তাঁর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সহ-সভাপতি রমেশ সাধুখা জানান, তৃণমূল নির্বাচনে পরাজয়ের আতঙ্কে ভুগছে। আর সেই কারণে সমস্ত তৃণমূল নেতারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রাখছে। দলের নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশে জানান, এখন থেকেই বুথে বুথে মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে ঘুরে দলের হয়ে প্রচার শুরু করে দিন। এদিন তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ বলেন গত ৫ বছরের উলুবেড়িয়া লোকসভায় সাংসদ তহবিলের টাকায় প্রচুর উনানয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নের খতিয়ান বই আকারে উলুবেড়িয়ার মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া হবে। এদিনের এই কর্মীসভায় দুই শতাধিক বিজেপি সিপিএম কর্মী তৃণমূলে যোগ দেয়। দলে যোগ দেওয়া কর্মীদের হাতে দলীয় পাতাকা তুলে দেন বিধায়ক সমীর পাঁজা ও সাজদা আহমেদ।