• Lok Sabha Election : টিচাররা ভোটের ডিউটিতে, কী হবে সামার প্রজেক্টের?
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: রাজ্যের ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়ার এ বারই সামার প্রজেক্টে হাতেখড়ি হওয়ার কথা। তবে লোকসভা ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই বহু স্কুল থেকেই দু’তিনজন করে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নেওয়া হয়েছে জেলায় নির্বাচনী অফিসের কাজে। ফলে বিপাকে খুদে পড়ুয়ারা। আর উল্টোদিকে একমাসের মধ্যেই শুরু হওয়ার কথা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির প্রজেক্টে পারিপার্শ্বিক প্রকৃতির উপাদান অথবা স্কুলের বইয়ে থাকা নানা বিষয়ের ছবি আঁকা ও রঙ করার কাজ।তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিজের বাড়িতে পোষ্য প্রাণী, গাছপালা নিয়ে লেখা এবং ছবি আঁকার কথাও জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবার, বন্ধু এবং স্কুল—এ সবের উপর গল্প লেখাও প্রজেক্টের আওতায় রয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আশঙ্কা, স্কুলে-স্কুলে শিক্ষকের স্বল্পতার জন্য প্রথমবারই খুদেদের সামার প্রজেক্টে হাতেকলমে শিক্ষা না-ও হতে পারে।

    সমস্যাটা ঠিক কী রকম?

    শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, এপ্রিলের শুরুতেই প্রথম পর্যায়ের মূল্যায়ন শেষ করতে হবে। তার চেয়েও বড় অসুবিধা, নির্বাচনের জন্য এক বছর ধরে প্রায় প্রতিটি প্রাথমিক স্কুল থেকেই দু’তিনজন, কোথাও আবার তার চেয়েও বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ভোটের কাজে ব্যস্ত। ফলে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঠনপাঠনে প্রভাব পড়েছে। এখন বিভিন্ন স্কুল থেকে আবার শিক্ষকদের তুলে নেওয়া হচ্ছে ভোটের কাজে।

    এমনকী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরাও বাদ যাচ্ছেন না। এরপর শুরু হবে ভোটের জন্য শিক্ষকদের ট্রেনিং। এই ট্রেনিং হবে দু’দিন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আবার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে ডিউটি দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে তাঁকে চারদিন প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এর মধ্যে সামার প্রজেক্টের মতো ভালো উদ্যোগ কার্যকর করতে অনেক স্কুলেরই সমস্যা হবে।

    বাগমারি বাজারের শ্রী নেহরু শিক্ষা সদন প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শৈলেশ শর্মা বলেন, ‘আমাদের স্কুলে ১৬০ জন পড়ুয়া। কিন্তু চারজন শিক্ষককে গত বছরের জুলাই থেকে ভোটের কাজে তুলে নেওয়া হয়েছে। দু’জন শিক্ষকে চারটে ক্লাস চালাচ্ছি।’ এন্টালির ইস্ট পয়েন্ট গার্লস প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছন্দা ঘোষের কথায়, ‘আমাদের সাড়ে তিনশো ছাত্রী। দু’জন শিক্ষিকা অসুস্থ। একজন কলকাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে কাজ করছেন।

    আরও দু’জন শিক্ষিকা ভোটের কাজে কমিশনের দপ্তরে এক বছর ধরে কাজ করছেন। ফলে স্কুলে খুবই সমস্যা।’ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ভীমসেন বিসওয়ালের দাবি, ‘যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এক বছর ধরে ভোটার লিস্ট তৈরি-সহ ভোটের নানা কাজকর্মে ইলেকশন ডিপার্টমেন্ট আটকে রেখেছে, তাঁদের অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়া হোক। বিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে।’
  • Link to this news (এই সময়)