Lok Sabha Election 2024: লোকসভার প্রচারে কী কী বিশেষ সুবিধা মোদীর? কোন কোন কাজে বিধিনিষেধ? জানুন
এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৪
বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ আসে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায়ই এমনটা দাবি শোনা যায় বিরোধীদের তরফে। নির্বাচন কমিশনের কাছে পদক্ষেপের জন্য় আর্জি জানানো হয়। কিছুক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নীরব থাকে আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয় কমিশন। ফলে এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কমিশনের যুক্তি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্য়ে ব্য়বস্থা নেওয়া হয় আদর্শ আচরণ বিধি মেনেই। কাউকেই সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয় না। নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রধানমন্ত্রীর জন্য আদর্শ আচরণ বিধির ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে । সেইসব নিয়ম অনেক ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয় মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে। ফলে প্রধানমন্ত্রী সেই সব সুবিধা পান নিয়মমাফিকই।কী কী বিশেষ সুবিধা পান প্রধানমন্ত্রী?
কমিশন জানিয়েছে, প্রচারে কোনও সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না বলে। তবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই নিয়মে ছাড় রয়েছে।ভোট চলাকালীন কেবলমাত্র এক জন নন-গেজেটেড কর্মীকে ব্যক্তিগত এবং সরকারি সফরে নিয়ে যেতে পারেন অন্য মন্ত্রীরা। তবে ওই কর্মীরা অংশ নিতে পারছেন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহতি রয়েছে এই নিয়ম থেকেও।নিরাপত্তার কারণে একাধিক নেতা ও মন্ত্রী ব্যবহার করেন বুলেটপ্রুফ-সহ অন্য গাড়ি। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ওই সব ব্যবহার করা গেলেও তার খরচ সরকার বহন করে না। ওই খরচ দিতে হয় ব্যক্তি বা তাঁর রাজনৈতিক দলকেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে বিষয়টিতে ছাড় রয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্ৰুপ (এসপিজি)-এর আওতায়।কমিশনের তরফে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কোনও সফরে গেলে রাজ্য প্রশাসনকেই প্রস্তুত রাখতে হবে হেলিপ্যাড। কমিশনের বেঁধে দেওয়া তালিকা মেনে তার খরচ দেবে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় টেলিপ্রম্পটার-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র দূরদর্শনের কর্মীরা তৈরি করে দেন। নির্বাচনের বিধি মতে, তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের নিয়ম মেনে ব্যবহার করা যেতে পারে দূরদর্শনের কর্মীদের।
যে বিষয়গুলিতে প্রধানমন্ত্রীকেও ছাড় দেয়নি কমিশন
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে নরেন্দ্র মোদীর 'বিকশিত ভারত'-এর বার্তা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল তার বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানায়। নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে ওই বার্তা পাঠানো বন্ধের নির্দেশ দেয়।এর আগেও এমন পদক্ষেপের নজির রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ২০১৭ সালে ত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে ওই রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে মোদীর ছবি-সহ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিজ্ঞাপন ছিল। তখনই কমিশন ওই বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। কমিশনের নির্দেশে ওই বিজ্ঞাপন সরেও গিয়েছিল।
কমিশনরে তরফে বলা হয়েছে, ভোটের প্রচারে কোনও সরকারি জায়গা ব্যবহার করা যাবে না।রাজনৈতিক ব্যানার, পোস্টার এবং পতাকা রাখা যাবে না সরকারি স্থানে।ভোট ঘোষণার পরে স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে শর্ত রয়েছে কমিশনের। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, , কোনও কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ব্যক্তি ওই কেন্দ্রে স্বাধীনতা এবং প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে পারবেন না। তবে বিধিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের রাজধানী এবং মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের রাজধানীতে ওই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।