যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী বদল করেছে বাম নেতৃত্ব। তরুণ মুখের উপর ভরসা রেখেছে দল। অন্যদিকে, এই কেন্দ্র গত তিনবার তৃণমূল কংগ্রেস জিতে এলেও প্রতিবারই প্রার্থী বদল করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বদল করা নিয়ে এবার খোঁচা তরুণ সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যর।নাম ঘোষণার পর থেকেই পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। রবিবাসরীয় প্রচারে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে সমালোচনা করতে দেখা গেল তাঁকে। সৃজন বলেন, ‘যেভাবে সমর্থন পাচ্ছি যাদবপুর এবার আর পার্ট টাইম এমপি পাবে না।’ সৃজনের কথায়, মানুষের চোখ মুখ যা বলছে, তাতে মানুষ এবার অন্য কথা বলবে। সৃজন বলেন , ‘মানুষ আর তোলাবাজ এবং দাঙ্গাবাজ দলের প্রার্থীকে জেতাতে রাজি নন।’
প্রচারে বেরিয়ে সৃজন জানান, মন্দিরে পুজো দেওয়া রাজনীতির ইস্যু হওয়া উচিত নয়। মানুষের রুজি রুটি, পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম, চাকরি, স্কুল কলেজ, পানীয় জল এই নিয়ে রাজনীতির তরজা হোক বলে জানান তিনি। প্রচারে বেরিয়ে নানান এলাকাতেই মানুষ তাদের এলাকার নানান অভাবের কথা জানাচ্ছেন। রবিবাসরীয় প্রচারে চম্পাহাটি থেকে হেঁটে প্রচার শুরু করলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য । পথ চলতি মানুষদের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। জনসংযোগ করেন দোকানে দোকানে গিয়েও।
যেভাবে সমর্থন পাচ্ছি যাদবপুর এবার আর পার্ট টাইম এমপি পাবে নাসৃজন ভট্টাচার্য
সোনারপুরে একে অপরকে আবীর মাখিয়ে নির্বাচনী প্রচার সারলেন দুই অভিনেত্রী ৷ যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ ও সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলী মৈত্র দুজনেই এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গেও আবীর খেলেন। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন নির্বাচনী প্রচার সারেন তারা ৷ বাইক ও টোটো নিয়ে এই দুই ওয়ার্ডের নানান এলাকা পরিক্রমা করেন সায়নী- লাভলিরা।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কবীর সুমন। পরেরবার এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী বদল করে ডঃ সুগত বসুকে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়। পরের বছর ফের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। এই কেন্দ্রে তৃণমূলে প্রার্থী হন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তবে, এবার ভোটের আগেই মিমি চক্রবর্তী রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তারপরেই এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে উঠে আসে তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের নাম।
উল্লেখ্য, একটা সময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল যাদবপুর। এই কেন্দ্রের অধীনস্থ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বরাবর জিতে এসেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এর আগে এই কেন্দ্র থেকে লোকসভায় জিতে আসেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তবে তারুণ্যের উপর ভরসা রেখেছে বামেরা। সেই কারণে, ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা সৃজনের কাঁধে ভরসার হাত রেখেছে বাম নেতৃত্ব। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী এই লোকসভা কেন্দ্রের ভাঙড় বাদ দিয়ে সব আসনেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, লোকসভায় কি চমক দেবেন বাম প্রার্থী, সেটাই এখন দেখার।