এই সময়: দোলের দিন বাড়ির পোষ্য বা পথের পশুদের রং না-মাখানোর আবেদন জানাল আন্তর্জাতিক স্তরের নামজাদা পশু অধিকার রক্ষা সংস্থা ‘হিউমেন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল’ (এইচএসআই)। আজ, সোমবার রঙের উৎসব। তার আগে পশুপ্রেমীদের আবেদন — সাময়িক আনন্দের জন্য এমন কিছু করবেন না যাতে বাড়ির পোষ্য বা পাড়ার রাস্তার পশুর ক্ষতি হয়। এ জন্য দোল খেলায় দায়িত্ববান হওয়ার পাশাপাশি পশুদের সুস্থ রাখতে কী করা উচিত বা উচিত নয়, সে সংক্রান্ত গাইডলাইনও দিয়েছে এইচএসআই।
পশুদের নিয়ে কর্মরত সংস্থা ‘প কমিউনিটি’র অন্যতম উদ্যোক্তা সায়ন বণিকের বক্তব্য, ‘অনেকে আছেন, যাঁরা বছরভর পাড়ার কুকুরদের একটা রুটি দেন না, কিন্তু দোলের দিন গায়ে রং লাগিয়ে দেন। নিজেরা তো বাড়ি ফিরে স্নান করে সাফসুতরো হয়ে যান। কিন্তু পশুদের কী হবে? এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ এইচএসআই-এর তরফে শৈলী শাহ বলেন, ‘বিড়াল-কুকুররা গা চেটে পরিষ্কার রাখে। সুতরাং তাদের গায়ে কোন রং মাখানো হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করছে স্বাস্থ্য। এ কারণে দোলের পর বহু পশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেকে মারাও যায়।’
পশু অধিকার রক্ষা সংস্থা ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস’ (পেটা)-এর পূর্বাঞ্চলীয় শাখার তরফে বিয়াস মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘পশু, পাখি থেকে শুরু করে কেউ রং মেখে থাকতে পছন্দ করে না। নানা রাসায়নিক রং তাদের অন্ধত্ব এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হয়। তা সত্ত্বেও কালীপুজো ও দোলে পশুরা নানা অত্যাচারের মুখে পড়ে। এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
দোলের জন্য যে গাউডলাইন এইচএসআই তৈরি করেছে, তাতে পশু-পাখিদের গায়ে রং না লাগানোর কথা তো বলা হয়েইছে। পাশাপাশি, সতর্ক করা হয়েছে, কেউ রং লাগালেও তা তুলতে যেন কোনও ভাবেই কেরোসিন বা স্পিরিট ব্যবহার করা না হয়। পশু-চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডগ শ্যাম্পু দিয়ে সেই রং তুলতে হবে। পশুদের লক্ষ্য করে রঙের বেলুন ছোড়া বা মিষ্টি খেতে না দেওয়ার কথাও রয়েছে গাইডলাইনে।