• S. Jaishankar : 'সন্ত্রাসকে শিল্প করে তুলেছে পাকিস্তান', খোঁচা বিদেশমন্ত্রীর
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: একদিকে সন্ত্রাসে মদত, অন্যদিকে সীমান্তে আগ্রাসন— এই দুই ইস্যুতে প্রতিবেশী দুই দেশ পাকিস্তান এবং চিনকে একহাত নিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সিঙ্গাপুরে এনইউএস ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের এক অনুষ্ঠানে শনিবার বক্তব্য রাখছিলেন জয়শঙ্কর।

    সেখানে প্রতিবেশী দেশের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর জবাব, ‘প্রতিটি দেশ একটা স্থিতিশীল প্রতিবেশী চায়...আর কিছু না হলেও একটা শান্তিকামী প্রতিবেশী চায়। কিন্তু ভারতের সেই ভাগ্য নয়। যে প্রতিবেশী দেশ না লুকিয়ে, প্রকাশ্যে শিল্পের মতো সন্ত্রাসে মদত দেয়, টেররিজ়মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, সেই প্রতিবেশীর সঙ্গে কী করবেন? এটা একবার ঘটেছে, এমন নয়, এটা ঘটেই চলেছে। ওরা (পাকিস্তান) সন্ত্রাসটাকে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। আমাদের মতো প্রতিবেশীকে চাপে রাখতে এ ধরনের হিংসা তৈরি করা হচ্ছে। তাই আমরা স্থির করেছি, এই সমস্যা (সন্ত্রাস) সমাধানের একটা রাস্তা বের করতে হবে। এই সমস্যাকে অগ্রাহ্য করে কোনও সমাধান হবে না, বরং সমস্যা আরও বাড়বে।’

    এই সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব নয়, মানছেন জয়শঙ্কর। তাঁর দাবি, ‘এটুকু আশ্বাস দিতে পারি, ভারত এই সমস্যাটাকে পাশ কাটিয়ে যাবে না। ‘এমন তো হয়েই থাকে, কূটনৈতিক আলোচনা চলুক’— এমন কিছুই ভারত বলবে না। সীমান্তপারের সন্ত্রাস মোকাবিলার রাস্তা আমাদের বের করতে হবে। কোনও সমস্যা কঠিন বলে অন্য দেশকে ফ্রি-পাস আমরা দিতে পারি না। ভারত সন্ত্রাসবাদীদের অবজ্ঞা করার মানসিকতায় নেই।’

    একই ভাবে অরুণাচল প্রশ্নে চিনকেও বিঁধেছেন জয়শঙ্কর। অরুণাচল প্রদেশকে বরাবর দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে চিন। শুধু তাই নয়, অরুণাচলকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে ‘জাংনান’ নামকরণও করেছে তারা। সম্প্রতি অরুণাচলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের ঘোর বিরোধিতা করেছিল বেজিং। চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল জাং জিয়াওগ্যাং বলেছিলেন, ‘ভারতের এমন কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়, যা সীমান্ত সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারতকে অনুরোধ করছি।’

    এদিন জয়শঙ্করের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘এটা কোনও নতুন সমস্যা নয়। আগেও চিন একই দাবি করেছিল। এই দাবি আগেও হাস্যকর ছিল, এখনও ততটাই হাস্যকর। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের স্বাভাবিক অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।’ ক’দিন আগে অরুণাচল প্রশ্নে চিনকে একহাত নিয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও। নয়াদিল্লির বক্তব্য ছিল, ‘ভিত্তিহীন দাবিকে বার বার আওড়ালে সেটা বৈধতা পেয়ে যায় না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। অরুণাচলের মানুষ ভারতের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং পরিকাঠামোর সুবিধাও আগেও পেয়েছেন, এখনও পাবেন।’
  • Link to this news (এই সময়)