• পড়াশোনার জন্য ছাড়েন ইসরোয় গবেষণার সুযোগ, গেট পরীক্ষায় প্রথম বর্ধমানের শিক্ষক
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৪
  • পড়াশোনার প্রতি তাঁর একাগ্রতা ছোট থেকেই। ডিগ্রি অর্জন করে লোভনীয় চাকরি মিললেও পড়াশোনা থেকে দূরে থাকতে পারেননি। হেলায় ছেড়ে দেন কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি থেকে ইসরোতে গবেষণা করার সুযোগ। সর্বভারতীয় গেট পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করাই ছিল তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যায় তিনি। অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় অন্যান্য রাজ্যের প্রার্থীদের পিছনে ফেলে দিয়ে প্রথম স্থান পেলেন বর্ধমানের শিক্ষক রাজা মাজি।দেশের মধ্যে সেরা বর্ধমান শহরের ছেলে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘গ্রাজুয়েট আপটিটিউট টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বা গেট-এ (GATE) প্রথম স্থান দখল করল বর্ধমানের ছেলে রাজা মাজি। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় রাজ্যের নাম উজ্জল করায় খুশির মহল বর্ধমানে। তাঁর এই সাফল্যেও গর্বিত বর্ধমানবাসী।

    বর্ধমানের খালুইবিলুই মাঠ এলাকার বাসিন্দা রাজা মাজি বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল থেকে ২০১০ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন রাজা। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। স্নাতক স্তরের পড়াশুনো শেষ করার পর ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে চাকরি করেন ৫ বছর। তবে প্রথম থেকেই শিক্ষকতার ইচ্ছা থাকায় ছেড়ে দেন কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি। এর পর বিষ্ণুপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দেন তিনি। এখানেই চাকরিরত অবস্থায় উচ্চশিক্ষার জন্য বসেন গেট পরীক্ষায়। সেখানেই সর্বোচ্চ সাফল্য সাফল্য পায় সে।

    এর মধ্যে চলে আসে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় কাজ করার সুযোগ। সেটাও প্রত্যাখ্যান করেন রাজা। তবে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত গেট পরীক্ষায় বসেন তিনি। এরপর মার্চ মাসে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতেই প্রথম স্থান অধিকার করে রাজা মাজি। এই সাফল্যে রাজা মাজি জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনো করার পর চাকরি করার ইচ্ছা কোনওদিনই ছিল না। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে ৫ বছর চাকরি করার পরেও মনে হয়েছিল এই কাজ আমার জন্য নয়। শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষার জন্যেই আমি গেট পরীক্ষা দিয়েছি। তবে উচ্চশিক্ষা শেষ হওয়ার পর এই শিক্ষকতাতেই থাকব।
  • Link to this news (এই সময়)