• শান্তিনিকেতন থেকেই তিনি পেয়েছিলেন বড় আঘাত
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ মার্চ ২০২৪
  • সৈয়দ মুজতবা আলীর ৫০তম মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে
    রবীন্দ্রনাথের টানে সিলেট থেকে সদ্য-তরুণটি শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন পড়াশোনার জন্য৷ মেধাবী এই ছাত্রের মনোজগৎ গড়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ৷ বহুভাষাবিদ, পণ্ডিত, মজলিশি, দেশবিদেশ ঘোরা, উদার-হূদয় সৈয়দ মুজতবা আলী-র জীবনের নানান ঘটনার কথা লিখেছেন অন্বেষা বসুরায়
    ১৯১৯ সালে সিলেট সফরে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ সেখানে ছাত্রদের উদ্দেশে একটি সভায় তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার বিষয় ছিল ‘আকাঙক্ষা’৷ সেই ভাষণ শোনার পর কিশোর মুজতবা চিঠি লিখেছিলেন কবিকে৷ তাতে তাঁর প্রশ্ন ছিল, আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করতে গেলে কী করা প্রয়োজন৷ সপ্তাহ খানেক পরেই এলো কবির উত্তর৷ তাতে মুজতবাকে তিনি লিখেছেন, ‘আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করিতে হইবে, এই কথাটির মোটামুটি অর্থ এই? স্বার্থই যেন মানুষের কাম্য না হয়৷ দেশের মঙ্গলের জন্য ও জনসেবার জন্য স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ কামনাই মানুষকে কল্যাণের পক্ষে নিয়ে যায়৷ তোমার পক্ষে কী করা উচিত, তা এতদূর থেকে বলে দেওয়া সম্ভব নয়৷ তবে তোমার অন্তরের শুভেচ্ছাই তোমাকে কল্যাণের পথে নিয়ে যাবে৷’
    কবির এই চিঠি সেদিন কিশোর মুজতবার মনে গভীর আলোড়ন তুলেছিল৷ তিনি চেয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের তৈরি শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানটিতে পড়াশোনা করতে৷ তাই ১৯২১ সালে তিনি চলে আসেন শান্তিনিকেতনে৷ তাঁর বয়স তখন ১৭ বছর৷ তখন বিশ্বভারতী সবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে৷ সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন দেখতে খুব সুন্দর, উজ্জ্বল ফর্সা গায়ের রং৷ তাঁকে দেখে অনেকে প্রথমে বিদেশি বলে ভুলও করত৷ কথাবার্তায় তিনি ছিলেন বেশ সপ্রতিভ৷ প্রথমে তাঁকে দেখে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত তুমি পূর্ববঙ্গের সিলেটের বাসিন্দা৷ কারণ, তোমার কথা থেকে তো কমলালেবুর ঘ্রাণ পাচ্ছি৷’ আসলে, সিলেট ছিল কমলালেবুর জন্যে বিখ্যাত৷ সেজন্যই তাঁর এই সরস সম্ভাষণ৷ রবীন্দ্রনাথ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী পড়তে চাও?’ উত্তরে ১৭ বছরের সদ্য-তরুণটি বলেন, ‘তা ঠিক জানি না৷ তবে একটা জিনিস খুব ভালো করে শিখতে চাই৷’ রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘নানা জিনিস শিখতে আপত্তি কী?’ মুজতবা উত্তর দেন, ‘মনকে চারিদিকে ছড়িয়ে দিলে কোনও জিনিস বোধহয় ভালো করে শেখা যায় না৷’ কবিগুরু বলেন, ‘কে বলেছে?’ অপ্রস্ত্তত মুজতবা থতমত খেয়ে বলে দেন, ‘কোনান ডয়েল’!
    মুজতবা যখন শান্তিনিকেতনে আসেন ছাত্র হিসেবে ভর্তি হতে, তখন মুসলিম ছাত্রকে ভর্তি নেওয়ার ব্যাপারে অনেক আশ্রমিকেরই আপত্তি ছিল৷ কিন্ত্ত এই মূল্যবান রত্নটিকে চিনতে ভুল করেননি রবীন্দ্রনাথ৷ মুজতবার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের এই প্রসঙ্গে আলাপচারিতা কিছুটা স্মরণ করা যেতে পারে৷ রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘বলতে পারিস, সেই মহাপুরুষ কবে আসবেন কাঁচি হাতে করে?’
    মুজতবা অবাক৷ মহাপুরুষ তো আসেন ভগবানের বাণী নিয়ে, অথবা শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম নিয়ে৷ মুজতবা বলেন, ‘কাঁচি হাতে করে?’ রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘হাঁ হাঁ কাঁচি নিয়ে৷ সেই কাঁচি দিয়ে সামনের দাড়ি ছেঁটে দেবেন, পেছনের টিকি কেটে দেবেন৷ হিন্দু-মুসলমান আর কতদিন আলাদা হয়ে থাকবে?’
    শান্তিনিকেতনে তাঁর বছর ছয়েকের ছাত্রাবস্থায় মুজতবা শিখতে শুরু করলেন এবং আয়ত্ত করলেন ইংরেজি, জার্মান, ফরাসি, রুশ, ইতালি, হিন্দি, আরবি, ফারসি, সংস্কৃত, সাংখ্য ও বেদান্ত দর্শন৷ রবীন্দ্রনাথের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কবিতা এবং ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রবন্ধ ছিল তাঁর মুখস্থ৷ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর দেখা হতো ইংরেজি আর বাংলা ক্লাসে৷ রবীন্দ্রনাথ পড়াতেন শেলি, কীটস আর বলাকা৷ অন্যান্য অধ্যাপকদের মধ্যে ছিলেন ফরাসি ও জার্মানবিদ মার্ক কলিন্স, ইতালি ভাষায় তুচ্চির, আরবি-ফারসির বগ দানফ, সংস্কৃতের জন্যে বিধুশেখর শাস্ত্রী৷ এইসব মহান শিক্ষকরা তখন রবীন্দ্রনাথের জন্যেই যুক্ত হয়েছিলেন বিশ্বভারতীতে৷ সে সময়ের ছাত্রদের মধ্যে মুজতবা আর প্রমথনাথ বিশী সাহিত্যিক হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রচেষ্টায়৷ এসব কথা সৈয়দ মুজতবা আলী লিখে গিয়েছেন তাঁর ‘গুরুদেব ও রবীন্দ্রনাথ’ বইয়ে৷
    শান্তিনিকেতনের পড়াশোনা শেষ করে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়, মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন৷ এর মধ্যেই চাকরি করেছেন কাবুলের শিক্ষা দফতরে, বরোদার মহারাজের আমন্ত্রণে সেখানকার কলেজে, দিল্লির শিক্ষা মন্ত্রকে, বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ পঞ্চাশের দশকে আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরের পদ ছেড়ে দিয়ে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন৷
    এসময় তাঁর উল্লেখযোগ্য সব বই বেরিয়ে গেছে এবং তা খুব আলোচিত ও উচ্চ-প্রশংসিত হয়েছে বোদ্ধা মহলে৷ তিনি সাহিত্যিক হিসেবে তখন যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত৷ কিন্ত্ত অর্থের প্রয়োজনে কোনও সংবাদপত্রে সম্মানজনক মাইনেতে কাজ করতে চেয়েছিলেন৷ অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছেন, তিনি আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরির আশা করেছিলেন৷ কিন্ত্ত সেখান থেকে সাড়া পাননি৷ অনেক বড় পত্রিকাগোষ্ঠী তাঁর থেকে লেখা চাইত সম্মানীর বিনিময়ে৷ কিন্ত্ত এ তাঁর পছন্দ ছিল না৷ শুধু টাকার জন্যে তাঁর আর লিখতে ভালো লাগত না৷
    ১৯৫৭ সালে তিনি ফিরে গেলেন শান্তিনিকেতনে৷ কিন্ত্ত সেখানে গিয়ে বিশেষ শান্তি পাননি৷ তাঁর নিজের মোটরগাড়িটি বিক্রি করে দিতে হয়েছিল খরচ চালানোর জন্যে৷ তবে তাঁর এই মানসিক কষ্টের কারণ শুধু আর্থিক কারণের জন্যেই নয়৷ রবীন্দ্রনাথের সময়ে শান্তিনিকেতনে তিনি যে প্রাণের আনন্দ পেয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথের মৃতু্যর পরে শান্তিনিকেতনে আর সেই আনন্দ ছিল না৷ বন্ধুভাবাপন্ন পরিবেশের বদলে তখন সেখানে হীনম্নন্যতার আর ঈর্ষা কাতরতার প্রকাশ দেখতে পেলেন তিনি৷
    ইতিমধ্যে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হয়ে এলেন সুধীরঞ্জন দাস৷ তিনি ছিলেন শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্র৷ তিনি মুজতবা আলীর শিক্ষাদীক্ষা, যোগ্যতা ও তাঁর কাজ সম্পর্কে ভালোই জানতেন৷ তিনি মুজতবা আলীকে ইতিহাস ও জার্মান বিভাগে রিডার পদে নিযুক্ত করলেন৷ দুঃখের বিষয়, তখন ইতিহাস বিভাগে কোনও ছাত্রছাত্রী ছিল না৷ তিনি শুধু জার্মান ভাষা পড়াতেন৷ এ সময় কেউ কেউ রটিয়ে দেয় যে, মুজতবা নিয়মমতো ক্লাস নেন না, গবেষণা করেন না৷ তাঁকে এই পদে নিযুক্ত করা ঠিক হয়নি৷
    ১৯৬৪ সালের শারদীয় ‘বেতার জগৎ’ পত্রিকায় তাঁর একটি লেখা পুনর্মূদ্রিত হয়৷ এই লেখাটি বহু আগে তিনি বেতারে পড়েছিলেন৷ কিন্ত্ত একজন কলাম লেখক ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় লেখেন, সৈয়দ মুজতবা আলী ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দু ধর্মে আঘাত দিয়েছেন৷ কিছু কিছু পত্রিকাতেও মুজতবার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে কুৎসা রটানো হয়৷ অবশ্য তাঁর বন্ধু পরিমল গোস্বামী এসব অবান্তর অভিযোগ ও কুৎসার যথোপযুক্ত জবাব দিয়েছিলেন৷ এদিকে তখন পূর্ব-পাকিস্তানে তাঁর সম্পর্কে বলা হতো, ভারতে থেকে মুজতবা আলী হিন্দু হয়ে গেছেন৷
    তাঁর ৬০ বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর বিশ্বভারতীর অধ্যাপক পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ১৯৬৫-র ৩০ জুন৷ মুজতবা আশা করেছিলেন তাঁকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপনার কাজ চালিয়ে যেতে বলা হবে৷ ফলে, খুব অভিমানে তিনি শান্তিনিকেতনের আশ্রম ছেড়ে চলে যান বোলপুরের নিচুপট্টিতে৷
    তিনি যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, তখন তাঁর এক পোষ্য অ্যালসেশিয়ান ছিল, তার নাম ছিল ‘মাস্টার’৷ শান্তিনিকেতনের পথে তাঁকে মাস্টারের চেন ধরে রাজকীয়ভাবে হাঁটতে দেখা যেত৷ শোনা যায়, একবার কয়েকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন৷ তিনি দরজা খুলেই খুব ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলেন, ‘আমি কথা বলতে পারব না, আমি এখন কুকুরের মাংস রান্না করছি’? বলেই দরজা বন্ধ করে দেন৷ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকজন তো হতবাক৷ পরমুহূর্তে আবার দরজা খুলে বলেন, ‘আমার কুকুরের জন্য মাংস রান্না করছি৷’
    সৈয়দ মুজতবা আলীকে নিয়ে এরকম বহু বিচিত্র মজার গল্প শোনা যায়৷ তবে তার অধিকাংশই যে সত্যি, সে বিষয়েও সন্দেহ নেই৷ তাঁর জীবনের একটি ঘটনার কথা শোনা যাক৷ সেদিন ছিল সরস্বতী পুজো৷ কলকাতায় গঙ্গার পাড়ে হাঁটছিলেন তিনি৷ দুপুরবেলা৷ হঠাৎ এক ভদ্রমহিলা তাঁর ছোট্ট নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে মুজতবা আলীর সামনে এসে অনুরোধ করলেন, ‘বাবা, আমার বাড়ির পুজোটা করে দাও না৷ পুরোহিত এখনও আসেননি৷ আমি পুরোহিত খুঁজতে বেরিয়েছি৷ বাচ্চাটা অঞ্জলি দেবে বলে এখনও কিছু খায়নি৷’
    মুজতবা আলী প্রথমে এড়িয়ে যেতে চাইলেও ভদ্রমহিলার কাতর আবেদন উপেক্ষা করতে পারলেন না৷ তাঁর বাড়িতে গেলেন৷ সেখানে দেখলেন, পুজোর সব আয়োজন সম্পূর্ণ, শুধু পুরোহিতের অপেক্ষা৷ বিশুদ্ধ সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণে সরস্বতী পুজোর যাবতীয় নিয়মনীতি অনুযায়ী পুজো সম্পন্ন করলেন মুজতবা৷ বাড়ির লোকজন খুব খুশি হয়ে আপ্যায়ন করলেন তাঁকে৷ শেষে দক্ষিণা নিয়ে তিনি চলে এলেন৷ পুজোর নিয়ম-আচার দেখে বাড়ির লোকেরা কেউ বুঝতেই পারলেন না যে, পুরোহিত মানুষটি অন্য ধর্মের৷
    পরে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলী লিখেছেন, ‘জানি না মা সরস্বতী এই বিধর্মীর পুজোয় অসন্ত্তষ্ট হলেন কি না৷ তবে আশা করি তিনি উপোসী বাচ্চাটির শুকনো মুখের দিকে চেয়ে এই অধমকে ক্ষমা করবেন৷’
    ১৯৬৫ সালে তিনি যখন বোলপুরের নিচুপট্টিতে থাকেন, সেসময় শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ৷ কিন্ত্ত শান্তিনিকেতনের সেই কুৎসা রটনাকারীরা তখনও ক্ষান্ত হয়নি৷ তারা বলতে শুরু করে, মুজতবা আলী পাকিস্তানের চর৷ তাঁর পরিবার পাকিস্তানে, তাঁর স্ত্রী পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেন৷ তাহলে তিনি এখানে কেন? এতে প্রভাবিত হয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁর বোলপুরের বাসস্থানে অভিযান চালায় এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে৷
    বিষয়টি শুনে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে মুজতবা আলীর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন৷ ‘দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক সাগরময় ঘোষ তাঁর একটি লেখায় বলেন, যেসব অর্বাচীন লোক সৈয়দদা সম্পর্কে এমন রটিয়েছেন, তাঁরা মানুষটাকে ভালোভাবে জানতেন না৷ শান্তিনিকেতনে ছাত্রাবস্থা থেকেই সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন সাগরময়ের ‘সৈয়দদা’৷ অন্নদাশঙ্কর রায় মন্তব্য করেন, এ আমাদের সবার লজ্জা৷
    বলাই বাহুল্য, এই ঘটনায় সৈয়দ মুজতবা আলী মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত পান৷ অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ ঘুমের ওষুধ ছাড়া ঘুমোতে পারতেন না৷ একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে৷ কিছুটা সুস্থ হয়ে ১৯৬৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুজতবা আলী বোলপুর ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন৷ এরপর বেঁচে ছিলেন প্রায় ছ’বছর৷ ১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃতু্য হয় এই প্রতিভাবান পণ্ডিত লেখকের৷
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)