অভিনব কায়দায় বদলে নেওয়া হত এটিএম কার্ড, গোটা চক্রটিকেই ধরে ফেলল পুলিস
২৪ ঘন্টা | ২৫ মার্চ ২০২৪
বিধান সরকার: কার্ড বদলে নিয়ে খালি করে দেওয়া হতো শয়ে শয়ে মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এরকমই এক প্রতারণাচক্রকে ধরে ফেলল শ্রীরামপুর থানা ও চন্দননগর পুলিসের গোয়েন্দারা। কার্ড বদল করে জেলায় জেলায় চলত প্রতারণচক্র। মোট ২০০ এটিএম কার্ড-সহ মোট ৫ জন পড়ে গেল পুলিসের জালে।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ৪ মার্চ শ্রীরামপুরের মাহেশে একটি এটিএম-এ মঞ্জু মন্ডল নামে এক প্রৌঢ় টাকা তুলতে গেলে তাকে সাহায্য করার নাম করে তার এটিএম কার্ডটি বদল করে নেয় প্রতারক এক যুবক। এরপর কোন্নগরের একটি এটিএম থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেয়। ব্যাঙ্কের পাস বই আপডেট করতে গিয়ে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি দেখতে পান প্রৌঢ়া। এরপর দেখেন তার কার্ড বদল করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ জানান প্রৌঢ়া। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ও চন্দননগর পুলিশের ডিডি টিম ঘটনার তদন্তে নামে।সিসিটিভি দেখে একটি চার চাকা গাড়িকে চিহ্নিত করে পুলিস। খোঁজ শুরু হয় সেই গাড়ির। আজ শ্রীরামপুর নগার মোড়ে নাকা চেকিং করার সময় সেটিকে আটক করে পুলিস। তল্লাসি চালিয়ে ২০০টি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড উদ্ধার হয় সেই গাড়ি থেকে। রাজু বর্মন,শুভম মাল,সঞ্জিব মাইতি,সুবীর সেখ ও সনৎ নস্কর নামে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বাড়ি বারুইপুর ও রায়দিঘী এলাকায়। ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস বলেন, ধৃতদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই প্রতারণা চক্রের টার্গেট বয়স্ক মানুষ, মূলত যারা এটিএম ভালো করে ব্যবহার করতে পারেন না তারা। এটিএম কিয়স্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে প্রতারকরা। এমন বয়স্ক মানুষ দেখলেই সাহায্যের অছিলায় এটিএম কার্ড বদল করে নেয়। এর আগে এই দলটিতে রায়দিঘী থানা গ্রেফতার করেছিল। গত দু বছরে আনুমানিক পঞ্চাশ লক্ষ টাকা প্রতারণা করছে তারা। আগে ট্রেনে বাসে করে ঘুরে ঘুরে হাওড়া হুগলি দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনায়। প্রতারণা করলেও ইদানিং একটি চার চাকার গাড়ি ভাড়া করে তারা। সেই গাড়িটি পাঁচশ টাকা দৈনিক ভাড়ায় একজন নিয়ে আসে। তাকেও সঙ্গে নেয় চক্রটি। সেই গাড়িই ধরিয়ে দিল অপরাধীদের।