ধর্মীয় স্থানে হামলার হুঁশিয়ারি, মস্কোর পর ISIS-KP-র টার্গেটে ভারত
এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৪
ধর্মীয় স্থান হবে রক্তাক্ত। মস্কো হামলার পর এবার ভারতকে হুমকি দিল আইএসআইএস- কেপি। একটি ম্যাগাজিনে আইএসআইএস- কেপি কাফেরদের সতর্ক করেছে। যে তালিবান এবং অন্যান্য পশ্চিমপন্থী পুতুল যে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি তদের রক্ষা করা যাবে না। আইএসআইএস-কেপি খুব তাড়াতাড়ি এই সুরক্ষা অঞ্চলগুলিকে পরাজিত করার হুমকি দিয়েছে। এমনকি ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ভারত এবং ইরানে পৌঁছনোর হুমকিও দিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন।ভারতের ধর্মীয় স্থানে আইএসআইএস- কেপি জঙ্গিরা রক্তপাত করবে বলে হুমকি দিয়েছে। শুক্রবার সদ্য মস্কোর কনসার্ট হলে উপস্থিত ৬০০০ মনুষের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ইসলামিক স্টেট। গুলির পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। কনসার্ট হলে উপস্থিত লোকেরা যাতে বেরোতে না পারে তার জন্য
অগ্নিসংযোগকারী বোমা বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। বোমার আঘাতে উড়ে যায় কনসার্ট হলের একাংশ। অতর্কিত জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় শতাধিক মানুষের। আহত হন শতাধিক মানুষ। গত কুড়ি বছরের নিরীখে এই হামলাকে সবচেয়ে বড় হামলা বলে দাবি করছে রাশিয়ার প্রশাসন। যদিও হামলার পরই একটি গাড়িতে করে চম্পট দেয় জঙ্গিরা। জঙ্গি সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়োও প্রকাশ করেছে রাশিয়া পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, এরপরও কিসের ভরসায় হুমকি দিচ্ছে ইসলামিক স্টেট?
মস্কো হামলার জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি রাশিয়ার সমর্থনের জন্যই ক্ষুব্ধ আইএসআইএস- কেপি। রাশিয়ার সেনাবহিনীও সিরিয়ায় আইসিসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল। এখন আইএসআইএস- কেপি সেই হামলারই প্রতিশোধ দাবি করেছে। যদিও রাশিয়ার দাবি, এই হামলার পরিকল্পণা ছিল ইউক্রেনের।
শুক্রবারের মস্কোর কনসার্টে হামলার সঙ্গে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মিল পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক যেভাবে মুম্বইয়ে হামলা চালিয়ে একাধিক মানুষের প্রাণ নিয়েছিল জঙ্গিরা ঠিক সেইভাবেই মস্কোয় হামল চালিয়েছে ইসলামিক স্টেট। নিউ ইয়র্কের এক সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই হামলার ছক কষা হচ্ছিল অনেকদিন আগে থেকেই। গত দু বছর ধরেই রাশিয়ার ওপর নজর রাখছিল আইএসআইএস- কেপি। পোস্ট করা ভিডিয়ো বার্তায় পুতিনের সমালোচনা করতেও দেখা যায় জঙ্গি সংগঠনটিকে। আইএসআইএস- কেপি ভিডিয়ো বার্তায় আফগানিস্তান, চেচনিয়া এবং সিরিয়ায় রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টির উল্লেখ করে ক্রেমলিনকে মুসলিম বিরোধী বলে অভিযুক্ত করেছে। চলতি বছরের জানুয়রি মাসে ইরানের প্রাক্তন কমান্ডারের মৃত্যুবার্ষিকীতে জড়ো হওয়া ভিড়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মৃত্যু হয় ৮৪ জনের। সেই বিস্ফোরণেরও দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেটের খোরাসন শাখা।