• নোয়াপাড়া-দমদম ক্যান্টনমেন্ট লাইনে মেট্রোর প্রথম ট্রায়াল রান, কী কী থাকছে স্টেশনে?
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৪
  • সম্প্রতি ৩টি সেকশনের উদ্বোধন করেছে কলকাতা মেট্রো। তারমধ্যে রয়েছে এসপ্ল্যানেড - হাওড়া ময়দান পরিষেবাও। এই রুটে গঙ্গার নীচ দিয়ে গিয়েছে মেট্রো। তবে আরও আরও একাধিক সেকশনে চলছে মেট্রোর কাজ। তারমধ্যে রয়েছে নোয়াপাড়া - দমদম ক্যান্টমেন্ট সেকশনও। এার সেই রুটে হল ট্রায়াল রানও।নোয়াপাড়া - দমদম ক্যান্টনমেন্ট সেকশনে স্টেশনগুলির মধ্যে প্রথমবারের জন্য ট্রায়াল রান করল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রবিবার সন্ধে ৬টা ১৮ মিনিটে শুরু হয় ট্রায়াল রান। মোট ২ রাইন্ড ট্রায়াল রান হয় এদিন। ঘণ্টায় ৭৩ কিলোমিটার বেগে সম্পন্ন হয় মেট্রোর ট্রায়াল রান। আর এই ট্রায়াল রানের পরেই, নতুন রুট কবে চালু হবে, সেই জল্পনা উঠতে শুরু করেছে। কারণ এই রুট চালু হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আরও অনেকটাই সুবিধা হবে মানুষের।

    প্রসঙ্গত, নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর স্টেশনের দূরত্ব ৬.৫ মতো। মেট্রো সূত্রে খবর, নোয়াপাড়া এবং দমদম ক্যান্টনমেন্টের তিন কিমি লাইন নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা নেই। ওই অংশের কাজ মসৃণভাবে এগিয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এই রুটে কবে মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে তা এখনও জানা যায়নি।

    কী কী থাকতে পারে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে? মেট্রো সূত্রে খবর, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে থাকছে দুটি প্ল্যাটফর্ম, যাতে যাত্রীরা সহজেই ওঠানামা করতে পারেন। এছাড়াও থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকিট কাউন্টার, বসার জায়গা, ফার্স্ট-এড রুম, শৌচাগার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড। এছাড়াও মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ছ'টি এসক্যালেটর, তিনটি লিফট, সাতটি সিঁড়ি, ১৬ টি অটোমেটেড ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) এবং আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে। নোয়াপাড়া - বারাসাত মেট্রো প্রকল্পের প্রথম পর্বে নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়েছে।

    নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত অংশে মেট্রোপথের নির্মাণকাজও প্রায় শেষের মুখে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে বিমানবন্দর এলাকার বাইরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক বরাবর অংশে মেট্রো করিডোর তৈরির কাজও চলছে। সম্প্রতি বাঁকড়া মোড়ের কাছে ১.২ মিটার পরিধির এবং ৫৫ মিটার লম্বা একটি কংক্রিটের পাইল পোঁতার কাজও হয়ে হয়েছে। সেই সময় প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু হাইড্রলিক রিগ ব্যবহার করে গর্ত খোঁড়ার পরে ২.২১ টন ওজনের লোহার রডের একটি কাঠামো মাটির ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে প্রায় ৪৪ ঘনমিটার কংক্রিটের মিশ্রণ ঢেলে ওই পাইল তৈরির কাজ সম্পন্নও করা হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)